প্রতিনিধি ঈশ্বরদী

গুলি | প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

পাবনার ঈশ্বরদীতে চাঁদার টাকা না পেয়ে কৃষাণী নুরুন্নাহার বেগম ও তার তিন ছেলেকে গুলি করে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর পূর্বপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে আছেন নুরুন্নাহার বেগম, তার ছেলে রায়হান কবির হিরোক, সিরাজুল ইসলাম মনিক, এবং মিশুক বিশ্বাস।  নুরুন্নাহার বেগম একজন রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্ত এআইপি কৃষক।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শুক্রবার আলতাফ শাহ মাজারের ওরশ উপলক্ষে স্থানীয় বিএনপি নেতা বাবু মালিথার ছেলে বাপ্পি মালিথার নেতৃত্বে একদল যুবক নুরুন্নাহার বেগমের বাড়িতে গিয়ে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। নুরুন্নাহার বেগম তাদের ৩ হাজার টাকা দিলে বাপ্পি মালিথা আরও ৫ লাখ টাকা দাবি করেন এবং তা না দিলে হত্যার হুমকি দেন।

মঙ্গলবার রাতে নুরুন্নাহার বেগমের বড় ছেলে রায়হান কবির হিরোক কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মাস্টারের মোড়ে বাপ্পি মালিথা ও তার সহযোগীরা তাকে আটকে মারধর করে। এ সময় তার মোবাইল ও নগদ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। হিরোককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করতে নুরুন্নাহার বেগম ও তার দুই ছেলে ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়, যাতে তারা সবাই গুলিবিদ্ধ হন।

এ ঘটনার পর ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা বাপ্পি মালিথার কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ছলিমপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবু বিশ্বাস বলেন, "ওরশের টাকা-পয়সা নিয়ে বিরোধের বিষয়ে শুনেছি। পুরো ঘটনা সম্পর্কে জানতে উভয় পক্ষের বক্তব্য প্রয়োজন।"

নুরুন্নাহার বেগম জানান, "ছেলেকে আটকে মারধরের খবর পেয়ে মনিক ও মিশুকসহ ঘটনাস্থলে গেলে বাপ্পি মালিথা ও তার সহযোগীরা আমাদের ওপর গুলি চালায়। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার চাই।"

ঈশ্বরদী থানার ওসি শহীদুল ইসলাম জানান, "পূর্ব শত্রুতার জেরেই এ ঘটনা। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"