আল-জাজিরা
ডোনাল্ড ট্রাম্প | গ্রাফিক:পদ্মা ট্রিবিউন |
ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের ক্ষেত্রে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম দিকে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও ক্রমেই সেই ব্যবধান একটু একটু করে কমছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবর বলছে, এখন পর্যন্ত কমলা হ্যারিস ২১০টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর চেয়ে ২০টি ভোট বেশি পেয়ে অর্থাৎ ২৩০টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তাহলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের ‘সবচেয়ে বড় নির্বাসন অভিযান’ চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিল এই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নযোগ্যতা এবং খরচ বিশ্লেষণ করেছে, যা অবাক করার মতো।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে আনুমানিক ১ কোটি ১০ লাখ অনথিভুক্ত অভিবাসী এবং ২০২৩ থেকে এপ্রিল ২০২৪-এর মধ্যে অনিয়মিতভাবে প্রবেশ করা আরও ২৩ লাখ মানুষকে নির্বাসিত করতে সরকারের খরচ হবে অন্তত ৩১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই যে, এই পরিমাণ একটি অত্যন্ত সংযত হিসাব।’
এতে আরও বলা হয়েছে, এই পরিমাণে দীর্ঘমেয়াদি ব্যয় এবং প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে অল্প সময়ে নির্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা অর্জনের অতিরিক্ত খরচ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি—কারণ এমন একটি বিশাল অভিযানের বাস্তবতা আসলে সম্ভব নয়।
অর্থাৎ, ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিতও হন, তারপরও যুক্তরাষ্ট্রে যে পরিমাণ অভিবাসী অনথিভুক্ত অবস্থায় আছেন, তাদের সবাইকে নির্বাসিত করা সম্ভব হয়। সেটা অর্থনৈতিক কারণেও এবং তাঁর যে মেয়াদকাল—৪ বছর—তার মধ্যেও এটি বাস্তবায়ন করা খুব একটা সহজ হবে না।