পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক

২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় ভ্লাদিমির পুতিনের সাক্ষাৎ ঘটেছিল | ছবি: আল-জাজিরা

আজকের (৫ নভেম্বর) ভোটেই নির্ধারিত হবেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই নির্বাচনে প্রধান দুই প্রার্থী ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দিয়েছে জরিপগুলো। নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হলে যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় ট্রাম্প জয়ী হলে ইউক্রেন যুদ্ধের কী হবে, তা নিয়ে অনেকেই মাথা ঘামাচ্ছেন।

ইতিপূর্বে ট্রাম্পের কিছু মন্তব্য থেকে ইউক্রেন যুদ্ধের পরিণতি কী হবে তা নিয়ে ধারণা পাওয়া যেতে পারে। এই ইস্যুতে গত বছর ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, নির্বাচিত হলে তিনি মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধের সমাধান করবেন। সিএনএন টাউন হলে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি যদি প্রেসিডেন্ট হই, তবে সেই যুদ্ধটি একদিনেই মিটিয়ে ফেলব।’

এর আগে এক বক্তব্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসাও করেছিলেন ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, রুশ নেতার সঙ্গে সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে গর্বও করেছিলেন তিনি।

একই সময়ে যুদ্ধের মধ্যে অতিরিক্ত মার্কিন সহায়তার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির অনুরোধের সমালোচনাও করেছিলেন ট্রাম্প। জেলেনস্কির অনুরোধের বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘এটি কখনোই শেষ হয় না।’

গত জুনে এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, নির্বাচিত হলে হোয়াইট হাউসে যাওয়ার আগেই তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের পরিণতি নির্ধারণ করে ফেলবেন।

এ অবস্থায় অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এবার ট্রাম্প নির্বাচিত হলে ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তা বন্ধ করে দিতে পারেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে ইউক্রেনের নেতাদের মধ্যেও গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে।