ঈশ্বরদীতে ট্রেন আটকে প্রতিবাদ

ঈশ্বরদী জংশনে আন্তঃনগর চিত্রা এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতি রাখার দাবি এবং সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন পুনরায় চালুর দাবিতে ট্রেন অবরোধ কর্মসূচি | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: আন্তনগর চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন চালু রাখা এবং বাতিল করা সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি পুনরায় চালুর দাবিতে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও ট্রেন অবরোধ করা হয়েছে।

‘ঈশ্বরদীর আপামর ছাত্রজনতা’ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতা এবং নানা শ্রেণি-পেশার শত শত মানুষ এতে অংশ নেন।

মানববন্ধনের সময় খুলনা থেকে ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনে পৌঁছালে তারা ট্রেনটিকে ৩৫ মিনিট আটকে রেখে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। এসময় সাত দিনের মধ্যে চিত্রা এক্সপ্রেসের ঈশ্বরদী স্টেশনে যাত্রাবিরতির জন্য দাপ্তরিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের দাবি জানান। অন্যথায় তারা পশ্চিমাঞ্চলের সব ট্রেন চলাচল বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দেন।

প্ল্যাকার্ড হাতে রেলের ইঞ্জিনের উপর জনতা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন ঈশ্বরদী নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ কিরণ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম ফজলুর রহমান, সমকাল প্রতিনিধি সেলিম সরদার, সচেতন নাগরিক ফোরাম নামের একটি সংগঠনের  আহ্বায়ক আ. ফ. ম. রাজিবুল ইসলাম ইভান, পৌর বিএনপি নেতা ইসলাম হোসেন জুয়েল, সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জনি, মাদকবিরোধী সংগঠন মানাবের সভাপতি মাসুম পারভেজ কল্লোল, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মাহিন মেহরাব এবং পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষার্থী তানজিদুল জামান দিহান।

চিত্রা ট্রেনের রুট পরিবর্তন নিয়ে বিশিষ্ট কলাম লেখক মোশাররফ হোসেন মুসা বলেন, “ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন দিয়ে আগে সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন চলত। কিন্তু গত বছর থেকে এই ট্রেনগুলো পদ্মা সেতু হয়ে চলছে। এখন শুধু চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনই খুলনা-ঢাকা রুটে ঈশ্বরদী দিয়ে যায়। শুনেছি, এটিও রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে চলবে।”

স্থানীয় জনগণ ও ছাত্রসমাজের আয়োজনে মানববন্ধন  | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান বাবলু বলেন, “ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন শত বছরের ঐতিহ্যবাহী স্টেশন। এখন এখানে শুধু চিত্রা ট্রেনটা যমুনা সেতু হয়ে খুলনা-ঢাকা রুটে চলাচল করছে। এখন সেটাও রুট পরিবর্তন করতে চায় রেল কর্তৃপক্ষ। এটা ঈশ্বরদীবাসী মেনে নেবে না।”

পাকশী রেলওয়ের পরিবহন কর্মকর্তা ফারহান মাহমুদ বলেন, “চিত্রা ট্রেনের রুট পরিবর্তনের কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি। রেল মন্ত্রণালয় থেকেও কিছু জানানো হয়নি।”
এক কিশোর ট্রেন স্টেশনের নির্মাণে উঠে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে রেলের দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ করছে। প্ল্যাকার্ডে লেখা, "রেলের সকল দুর্নীতি দূর করতে হবে।" | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক আব্দুল আউয়াল ভূঁইয়া জানান, “চিত্রা ট্রেনের রুট পরিবর্তনের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আগামী নভেম্বর থেকে খুলনা-যশোর থেকে ঢাকাগামী ট্রেন পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচল করতে পারে, আর তখন এই রুটে ট্রেনের সংখ্যা বাড়তে পারে।”