নিজস্ব প্রতিবেদক
বঙ্গভবনের সামনে কড়া নিরাপত্তা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বৃহস্পতিবারের মধ্যে দাবি মানার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি সংগঠন বিভিন্ন ব্যানারে বঙ্গভবনের সামনে গতকাল মঙ্গলবার বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। এসবের রেশ ধরে আজ বুধবারও বঙ্গভবনের আশপাশের পরিস্থিতি থমথমে। যেকোনও ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট।
বুধবার সকালে দেখা যায়, রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনের চারপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ, সেনাবাহিনীর এপিসি ও জলকামান মোতায়েন রয়েছে। কাঁটাতার দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করতে দেখা গেছে। উপস্থিত আছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন ইউনিট।
বঙ্গভবনের সামনে আইনশঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
তবে সকালে কোনও বিক্ষোভকারী চোখে পড়েনি বঙ্গভবনের সামনে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে বঙ্গভবনের সামনের ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল বিক্ষুব্ধ লোকজন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বাধা, লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের পর ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় তারা। এসময় দুইজন শিক্ষার্থীসহ তিনজন আহত হন বলে খবর পাওয়া যায়। ৩০০ থেকে ৪০০ লোক বঙ্গভবনের অনুপ্রবেশের চেষ্টায় উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গভবনের সামনে আইনশঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
পরে রাতে আবারও তারা বঙ্গভবন ও আশপাশের এলাকায় বিক্ষোভ করার চেষ্টা হয়। পরে তারা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়ে রাত আড়াইটার দিকে বঙ্গভবনের নিকটবর্তী এলাকা ছেড়ে চলে যান।
বুধবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |