পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ঢাকায় তাঁর দপ্তরের নতুন ভবনের মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। ১ অক্টোবর, মঙ্গলবার | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর কৃতকর্মের জন্য পাকিস্তান সরকার যদি ক্ষমা চায়, তাহলে উভয় দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করা সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সদ্য সমাপ্ত নিউইয়র্ক সফরের বিষয় নিয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ড. ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে যান।
প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা ও সম্পদের হিস্যা সম্পর্কিত অমীমাংসিত বিষয়গুলোকে সামনে রেখে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিচ্ছে কি না, এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করা হয়।
এ সময় ড. ইউনূস ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে তৌহিদ হোসেন বলেন, “এটি (নিউইয়র্কে বৈঠক) একদম সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। সৌজন্য সাক্ষাতে আমরা কঠিন বিষয় তুলি না। যখন আলোচনার টেবিলে বসব, তখন আমরা তুলব। তবে আমরা তাদের এমন ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করিনি যে ’৭১-কে বাদ দিয়ে আমরা ভালো সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করব।”
তিনি আরো বলেন, “ভালো সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করব, তবে ’৭১-ও থাকবে। ৫২ বছর ধরে যে বিষয়টি আছে, সেটি কালই সমাধান হবে, এটি আমি মনে করি না। কিন্তু আমরা যখন আলোচনার টেবিলে বসব, তখন এটি থাকতে হবে।”
তৌহিদ হোসেন ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন, “পাকিস্তানের কোনো সরকার যদি এই সাহসটা দেখায় এবং সত্যিকার অর্থে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে উদ্ধৃত করে আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী হয়, তাহলে এতে দোষের কিছু নেই। আমি মনে করি, এটি ঘটলে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা অনেক সহজ হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এ কারণে সম্পর্ক একদম আটকে রাখা প্রয়োজন নেই। পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা সম্পর্ক বজায় রেখে এসেছি। হঠাৎ করে কিছুটা ইচ্ছাকৃতভাবে... অনেকটা আমাদেরও স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়—এমন ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছিল। যেখানে স্বার্থ আছে, সেখানে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত, এটিকে পাশে রেখে। আমাদের যেখানে স্বার্থ আছে, সেখানে আমরা সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাব।”