প্রতিনিধি ঈশ্বরদী
গুলি | প্রতীকী ছবি: রয়টার্স |
পাবনার ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীতে নৌকায় টোল আদায়কে কেন্দ্র করে যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার এ ঘটনায় গুলিতে আহত হয়ে একজন নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন পাকশীর বাঘইল স্কুলপাড়ার জহুরুল ইসলাম টুটুল (৫৫)। তিনি গুলিতে আহত হয়ে নদীতে পড়ে নিখোঁজ রয়েছেন। আজ বুধবার বেলা ২টা পর্যন্ত পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়রা চেষ্টা করেও তাঁকে খুঁজে পাননি। আহত অন্যরা হলেন বাঘইল কসাইপাড়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম রানা (৪০), বাঘইল শহীদপাড়ার শিবলু সিদ্দিকী (৪২) ও বাঘইল সরদারপাড়ার মাহফুজুর রহমান মঞ্জু (৪২)।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিন বর্গমাইলের মধ্যে পাকশী হঠাৎপাড়ার চরসংলগ্ন পদ্মা নদীতে গতকাল বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যুবদলের দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থেকে পাকশী পর্যন্ত নদীতে চলাচলকারী নৌযানের টোল আদায়কে কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরে পাকশী যুবদলে দ্বন্দ্ব চলছিল। ঘটনার তিন দিন আগে বিষয়টি নিয়ে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা প্রান্তে সমঝোতা বৈঠক হয়। তবে সেখানে কোনো সমাধান হয়নি।
গতকাল বিকেলে পাকশীর বাঘইল গ্রামের যুবদল সদস্য আমিনুল ইসলাম রানা ও তাঁর লোকজন নৌকা নিয়ে হঠাৎপাড়ার নদীর চরে টোল আদায় করছিলেন। খবর পেয়ে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমদ টনি বিশ্বাসের লোকজন ভেড়ামারা প্রান্ত থেকে কয়েকটি নৌকায় এসে টোল আদায়ে বাধা দিলে উভয় পক্ষে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় অনেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মরক্ষা করেন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। গুলির শব্দে নদীতে নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং তীরের মানুষজন আতঙ্কে ছোটাছুটি করে।
স্থানীয়রা জানায়, যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনার খবর পেয়ে অনেক পরে সেখানে নৌ পুলিশ পৌঁছায়। যে কারণে তারা কাউকে আটক করতে পারেনি।
যোগাযোগ করা হলে লক্ষ্মীকুণ্ডা নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামান বলেন, "শুনেছি, পদ্মা নদীতে নৌকার টোল আদায়ের কর্তৃত্ব নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়েছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। পুলিশ আসার খবরে সবাই পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"