লাশ | প্রতীকী ছবি

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদীতে ১১ বছর বয়সী কিশোরী আমেনা আক্তার আলফির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, আলফির মৃতদেহটি শয়নকক্ষে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে স্থানীয় শিক্ষক ও প্রতিবেশীরা আত্মহত্যার বিষয়টি সন্দেহজনক মনে করছেন এবং তারা আলফিকে মানসিক রোগী বলার অভিযোগকে প্রশ্ন করছেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের গোপালপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। আলফি আসনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। ঘটনার দিন সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তার মা আলফিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। প্রতিবেশীরা তাকে নামানোর চেষ্টা করেন এবং দ্রুত নাটোরের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরিবার সদস্যরা মৃতদেহটি হাসপাতাল থেকে নিয়ে দাফনের প্রস্তুতি নিলেও প্রশাসনকে অবহিত না করে দাফনের খবর পেয়ে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে দাফন প্রক্রিয়া বন্ধ করেন। পরে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

নিহত আলফির চাচা জানিয়েছেন, "তিনি কাজ থেকে ফিরে ভাবীর চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে যান এবং ঝুলন্ত আলফিকে নামানোর চেষ্টা করেন।"

প্রতিবেশীরা বলেন, "আলফি শান্ত স্বভাবের মেয়ে ছিল এবং তার আত্মহত্যা করা বিশ্বাস করতে পারছেন না।"

ওসি শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, "মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে, আর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"