পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক

ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান | ছবি : এএফপি

ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানী তেহরানে শক্তিশালী কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এর পরপরই ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইরানে ‘সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে’ হামলা চালাচ্ছে তারা।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে বলা হয়, তেহরান ঘিরে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে কীভাবে এসব বিস্ফোরণ হয়েছে, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। রাজধানীর কাছেই কারাজ শহরেও বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে।

তেহরানের এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, রাজধানীতে মোট সাতটি বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছেন তাঁরা। এসব বিস্ফোরণে আশপাশের এলাকাগুলো কেঁপে ওঠে।

শুক্রবার রাতেই ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরায়েলে কয়েক মাস ধরে ইরানের হামলার জবাবে এই মুহূর্তে ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলোয় সুনির্দিষ্টভাবে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।’

ইরানে ইসরায়েলের হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রও। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র সেন সাভেট এক বিবৃতিতে বলেন, আত্মরক্ষার জন্য ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় সুনির্দিষ্টভাবে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এটি ১ অক্টোবর ইরানের হামলার জবাব।

যুক্তরাষ্ট্রের এ বিবৃতির পর ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম নিউজ টুয়েলভ জানিয়েছে, ইরানে ‘দ্বিতীয় দফায়’ হামলা শুরু হয়েছে। ইরানের শিরাজ শহর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

গত বছরের অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। সম্প্রতি লেবাননেও ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে তারা। এসব হামলায় সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও হিজবুল্লাহর প্রধান নিহত হওয়ার পর ১ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। গত ছয় মাসের মধ্যে এটি ছিল ইসরায়েলে ইরানের দ্বিতীয় হামলা। এ নিয়ে গত সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছিলেন, ইসরায়েলের ক্ষতি করার চেষ্টার জন্য শত্রুদের ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে।