গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। সকালে তোলা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি গাজীপুর: গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে ঝুট (পরিত্যক্ত মালামাল) ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কোনাবাড়ীর জরুন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে আছেন আলম খন্দকার, বাদল খন্দকার, শামীম খন্দকার, জহিরুল খন্দকার ও বাবুল হোসেন। তাঁদের গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জরুন এলাকায় এসট্রো নিটওয়্যার নামের একটি পোশাক কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ঝুট ব্যবসা করে আসছিলেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জেলার কারখানাগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। আজ সকালে বিএনপির সহসভাপতি মো. সালাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ও ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি বিপ্লব খান নেতৃত্বে একটি দল এসট্রো নিটওয়্যার কারখানায় ঝুট মাল বের করতে যান। এসময় বিএনপির সাবেক নেতা জহিরুল ইসলাম ও বাবুল হোসেনের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন তাঁদের বাধা দেন। এর ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে, যা দেশি অস্ত্র দিয়ে হামলা এবং কুপিয়ে জখমের পর্যায়ে পৌঁছায়।
সংঘর্ষের সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, এবং আশপাশের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন। আহতদের উদ্ধার করে মেডিকেলে নেওয়া হয়। বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান জানান, তিনি ঝুট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নন, তবে সালাউদ্দিন ওই কারখানায় ঝুট ব্যবসা করেন এবং তাঁদের বাধা দিতে গিয়ে সংঘর্ষ ঘটেছে।
কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাটি যেভাবে বর্ণনা করা হচ্ছে, তেমন নয়। দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে, একজন হয়তো সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”