স্মরণ সভায় বক্তব্য দেন মিহির ঘোষ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ বলেছেন, "শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পেছনে জনগণের অসন্তুষ্টি প্রধান কারণ।"
বুধবার রাতে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্য প্রবীণ রাজনীতিক ও প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা কমরেড জসিম উদ্দিন মণ্ডলের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, "দীর্ঘদিনের শাসনামলে তার (শেখ হাসিনা) সরকার লুটপাট, দুর্নীতি এবং নির্বাচন ব্যবস্থার অবক্ষয়ের মাধ্যমে জনগণের আস্থা হারিয়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও প্রকল্পগুলোর ওপর অযাচিত দখল ও শোষণ দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্থির করে তুলে। এর ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়ে শেখ হাসিনার সরকারের স্থায়িত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।"
মিহির ঘোষ জাতীয় সংগীতের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, "জাতীয় সংগীতকে প্রশ্নবিদ্ধ করা জাতির গৌরব ও স্বাধীনতার প্রতি অসম্মান। আমাদের রাজনৈতিক বিতর্ক যতই তীব্র হোক, জাতীয় ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক গৌরবকে অসম্মান করা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।"
তিনি উল্লেখ করেন, "রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু ভারতের নয়, বরং সমগ্র বাংলা ভাষাভাষী জনগণের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
মিহির ঘোষ বলেন, "বাংলাদেশের সংবিধান দেশের মূল কাঠামো এবং রাজনৈতিক ভিত্তি রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস, জনগণের মৌলিক অধিকার এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতিনিধিত্ব করে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সংবিধানের প্রস্তাবিত মূলনীতি—জাতীয়তা, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা—অত্যন্ত জরুরি।"
সিপিবি ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ডা: অলোক মজুমদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সিপিবি রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির সমন্বায়ক ইসমাইল হোসেন, পাবনা জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক সালফী আল ফাত্তাহ, সম্পাদক মন্ডলী সদস্য আহসান হাবিব, সদস্য জীবন দাস, ঈশ্বরদী উপজেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হোসেন সোহাগ এবং পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।