প্রতিনিধি রাজশাহী

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারকে আদালত চত্বরে ডিম ছুড়ে মারার সময় এভাবেই দ্রুত তাঁকে এজলাসে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের দিকে ছাত্র-জনতা ডিম, ইট ও কাদা নিক্ষেপ করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে দ্বিতীয়বারের মতো রিমান্ড শুনানির জন্য তাঁকে আদালতে নেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্র-জনতা তাঁর ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দেয়। আদালত তাঁর আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে ডাবলু সরকারকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এ হাজির করে ডিবি পুলিশ। খবর পেয়ে ছাত্র-জনতা সেখানে জড়ো হয়, তাদের হাতে পলিথিনের ব্যাগে ডিম ছিল এবং বৃষ্টির কারণে কাদা ছিল। ডাবলুকে গাড়ি থেকে নামানোর সময় ছাত্র-জনতা ‘ফাঁসি চাই’ স্লোগান দিতে থাকে এবং তাঁর দিকে ডিম, ইটের টুকরা ও কাদা নিক্ষেপ করে। মাথায় হেলমেট থাকায় ডিম ভেঙে হেলমেটে গলে যায়।

পুলিশ, সেনাসদস্য এবং ক্রাইসিস রেসপন্স টিমের (সিআরটি) সদস্যরা তাঁকে ঘিরে রাখে, যার ফলে ছাত্র-জনতা প্রিজন ভ্যানের কাছে যেতে পারেনি। ছোড়া ডিম ও কাদা পুলিশ এবং ভ্যানের চালকের গায়ে পড়তে দেখা যায়। পরিস্থিতি সংকটময় দেখে পুলিশ দ্রুত তাঁকে আদালতের ভেতরে নিয়ে যায়, তখনও জনতা প্রিজন ভ্যানে কাদা ও ইট ছুড়তে থাকে। ভেতরে থাকাকালীনও স্লোগান চলতে থাকে।

আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামির আরও সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক মো. মাসুদুজ্জামান পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিকেল পাঁচটার দিকে ডাবলুকে আদালত থেকে বের করা হয়, তখনও ছাত্র-জনতা একইভাবে ডিম ও কাদা ছুড়ে মারে এবং তাঁকে ভ্যানে তুলে নেওয়ার সময় কিছুদূর পর্যন্ত স্লোগান দিতে দিতে দৌড়ায়।

এর আগে ৪ অক্টোবর নওগাঁ থেকে ডাবলু সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়, যেখানে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছিল। সেই রিমান্ড শেষে আজ তাঁকে আবার আদালতে হাজির করা হয় এবং সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের আদালত পরিদর্শক আবদুর রফিক বলেন, "৫ আগস্ট রাজশাহীতে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলিতে নিহত শিবির নেতা আলী রায়হান হত্যা মামলায় ডাবলুকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। আগেরবারও একই মামলায় তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।"