খেলা ডেস্ক
উইঙ্গার সাভিনিয়ো | ফাইল ছবি |
ব্রাজিলের ফুটবল দল বর্তমানে কঠিন সময় পার করছে, যা পরিসংখ্যানেও স্পষ্ট। দলের খেলোয়াড়রা নিজেদের হতাশার কথা স্বীকার করেছেন, তবে দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেছেন। গোলরক্ষক এদেরসন ও উইঙ্গার সাভিনিয়ো উভয়েই নতুন করে শুরু করার তাগিদ অনুভব করছেন।
কাতার বিশ্বকাপে কোয়ার্টার-ফাইনালে হারের পর থেকে ব্রাজিলের ফুটবল যাত্রা হতাশার দিকে এগোচ্ছে। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে তারা আট ম্যাচ খেলে মাত্র তিনটিতে জয় পেয়েছে এবং একটিতে ড্র করে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে আছে। শীর্ষে থাকা আর্জেন্টিনার চেয়ে তারা ৮ পয়েন্ট পিছিয়ে আছে। গত জুন-জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকাতেও সেলেসাওরা শেষ আট থেকে বাদ পড়ে।
এখন ঘুরে দাঁড়ানোর অভিযান শুরু করতে চিলির মাঠে শুক্রবার ভোরে নামবেন এদেরসন, রদ্রিগো ও মার্কিনিয়োসরা। এরপর তারা ঘরের মাঠে পেরুর বিরুদ্ধে খেলবেন। বাছাইয়ের আসন্ন দুই ম্যাচের আগে ম্যানচেস্টার সিটির তরুণ ফুটবলার সাভিনিয়ো বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে সতীর্থদের হতাশা কাটিয়ে উঠার তাগিদ দেন।
তিনি বলেন, “আমরা যে অবস্থায় আছি এবং সমর্থকদের যে প্রত্যাশা রয়েছে, তা বিবেচনায় নিয়ে আমাদের খুব দুর্ভাবনা রয়েছে। এখন সময় এসেছে ঘুরে দাঁড়ানোর। ব্রাজিল কেমন হওয়া উচিত, তা প্রদর্শনের এখনই সঠিক সময়।”
বাছাইয়ে আগের দুই ম্যাচে খেলার সুযোগ পাননি ২০ বছর বয়সী সাভিনিয়ো। সেপ্টেম্বরে একুয়েডরের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় পাওয়ার পর তারা পরের ম্যাচে প্যারাগুয়ের কাছে একই ব্যবধানে পরাজিত হয়। এবারের ম্যাচগুলোর আগে দলের মূল গোলরক্ষক আলিসন, তারকা ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র, ডিফেন্ডার মিলিতাও ও গিলের্মো আরানা চোটের কারণে দলের বাইরে রয়েছেন। নেইমার তো আগে থেকেই নেই।
তবে সাভিনিয়ো মনে করেন, ডাক পাওয়া খেলোয়াড়রা দলের পরিচিত রূপে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবেন। তিনি বলেন, “দলে যারা রয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের মনেই লক্ষ্য পূরণের সংকল্প রয়েছে। আমি জাতীয় দলকে জেতানোর দায়িত্ব নেব, তবে একা নই। রদ্রিগো, মার্তিনেল্লি, পাকেতা, ব্রুনো গিমারাইস, এন্দ্রিক—যদি সবাই একটু একটু করে দায়িত্ব নেন এবং মাঠে প্রয়োগ করেন, তাহলে আমরা লড়াই করতে পারব।”
এদেরসনও একইরকম বার্তা দিয়েছেন, যেখানে তিনি দলকে জয়ী পথে ফেরানোর তাগিদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা সকলের অধৈর্যতা বুঝি এবং চাহিদা জানি। আমাদের দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখাতে হবে এবং জয়ের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে।”