নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল ( অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম | ফাইল ছবি |
জেলায় জেলায় ডিসিদের পদায়নের ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। অন্তর্বর্তী সরকার কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বুধবার ‘জেলা প্রশাসক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ নামে এই কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রয়োজন হলে কমিটি অতিরিক্ত সদস্যও নিতে পারবে। জেলা ও মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
সরকারের পরিবর্তনের পর প্রশাসনে ব্যাপক পরিবর্তনের অংশ হিসেবে গত ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দুই ধাপে ৫৯ জেলায় নতুন ডিসি পদায়ন করা হয়। এই নিয়োগের পর বেশ কিছু সরকারি কর্মকর্তা নিজেদের বঞ্চিত দাবি করে জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগের দাবি তুলেন এবং জনপ্রশাসন সচিবের দপ্তরের সামনে কয়েকদিন বিক্ষোভ করেন। পরে অভিযোগ ওঠে যে, 'বিগত সরকারের দোসর ও সুবিধাভোগীরা নতুন করে ডিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন', ফলে নয়জন ডিসিকে প্রত্যাহার করা হয়।
এছাড়া, চলতি মাসের শুরুতে ডিসি পদায়নের ক্ষেত্রে আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে কিছু হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনের স্ক্রিনশট ফাঁস হয়। দৈনিক কালবেলা এই বিষয়ে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যার মধ্যে দ্বিতীয় প্রতিবেদনে এক যুগ্ম সচিব এবং জনপ্রশাসন সচিবের মধ্যে কথোপকথনের স্ক্রিনশট প্রকাশ করা হয়, যেখানে ডিসি নিয়োগে '৫ থেকে ১০ কোটি টাকা' লেনদেনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, জনপ্রশাসন সচিব মো. মোখলেস উর রহমান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব অভিযোগকে 'মূল্যহীন' বলে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, “বিন্দু বিসর্গের সত্যতা নাই।” ডিসি নিয়োগের এই দুর্নীতি অভিযোগের যাচাই-বাছাইয়ের জন্যই এই উপদেষ্টাদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।