নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
অধ্যাপক আলী রীয়াজ | ফাইল ছবি |
পাঁচটি সংস্কার কমিশন গঠনের পর এবার সদস্যদের নামসহ আনুষ্ঠানিকভাবে ‘সংবিধান সংস্কার কমিশন’ গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এর মধ্য দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত ছয়টি কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলো।
সোমবার সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। কমিশনের আট সদস্য হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের ও অধ্যাপক মুহাম্মদ ইকরামুল হক, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিকী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার এম মঈন আলম ফিরোজী, লেখক ফিরোজ আহমেদ, মানবাধিকারকর্মী মো. মুস্তাইন বিল্লাহ এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মো. মাহফুজ আলম।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, কমিশন ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন তৈরি করে প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেবে। কমিশনের কার্যালয় সরকার নির্ধারণ করবে এবং সদস্যরা সরকার নির্ধারিত পদমর্যাদা, বেতন বা সম্মানী এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন। কেউ স্বেচ্ছায় দায়িত্ব পালনের ইচ্ছা প্রকাশ করলে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে তা গ্রহণযোগ্য হবে। লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ কমিশনকে প্রশাসনিক সহায়তা প্রদান করবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন। গত বৃহস্পতিবার সংবিধান সংস্কার কমিশন বাদে বাকি পাঁচটি কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ কমিশনগুলোর মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী দায়িত্ব পালন করছেন।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে প্রথমে বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিকের নাম ঘোষণা করা হলেও পরে তা সংশোধন করে অধ্যাপক আলী রীয়াজকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।