নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
সবজি বাজার |ফাইল ছবি |
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার পরিস্থিতি ও সরবরাহব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং পর্যালোচনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছে। এই টাস্কফোর্স জেলা পর্যায়ে কার্যক্রম পরিচালনা করবে, যা দেশের প্রতিটি জেলায় আলাদাভাবে কার্যকর হবে।
সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিটি জেলায় গঠিত টাস্কফোর্সের নেতৃত্বে থাকবেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক।
এছাড়া টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে থাকবেন জেলার একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বা প্রতিনিধি, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বা প্রতিনিধি, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বা প্রতিনিধি, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা বা জ্যেষ্ঠ কৃষি বিপণন কর্মকর্তা, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধি এবং দুজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি। প্রয়োজনে টাস্কফোর্স সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।
বর্তমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে নিত্যসামগ্রীর মূল্য আরও বেড়েছে। যেমন কাঁচা মরিচের কেজি ৪০০ টাকা এবং প্রতি ডজন ফার্মের ডিম ১৮০-১৯০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগিসহ প্রায় সব ধরনের সবজির দামও বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে সরকার বাজার পর্যবেক্ষণ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার উদ্দেশ্যে জেলায় জেলায় টাস্কফোর্স গঠন করেছে।
গতকাল যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কিছু পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানোর উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, অনেক পণ্য ডিউটি ফ্রি করলেও বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব দেখা যায়নি। সিন্ডিকেটের প্রভাবে দাম কমেনি। এরপরই বাজার মনিটরিংয়ের উদ্দেশ্যে টাস্কফোর্স গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা আজ প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশিত হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এই টাস্কফোর্স নিয়মিত বাজার, আড়ত, গোডাউন, কোল্ড স্টোরেজ এবং সরবরাহব্যবস্থার অন্যান্য জায়গা সরেজমিনে পরিদর্শন করবে। টাস্কফোর্স নিত্যপণ্যের মূল্য যুক্তিসংগত পর্যায়ে রাখতে এবং উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত দামের পার্থক্য কমাতে কাজ করবে। সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় করাও তাদের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
প্রতিদিনের কার্যক্রম শেষে টাস্কফোর্সের সদস্যরা একটি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেল এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষে পাঠাবেন। কেন্দ্রীয়ভাবে এই প্রতিবেদনগুলো সংকলন ও বিশ্লেষণ করে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে।