পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক

চলতি বছর চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শারীরতত্ত্বে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস এবং গ্যারি রাভকুন। মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কার ও জিন নিয়ন্ত্রণে এর ট্রান্সক্রিপশন পরবর্তী ভূমিকাবিষয়ক গবেষণার জন্য তাঁদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়। তাঁদের কাজ কোনো প্রাণীর দেহের গঠন ও কার্যক্রম বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

বাংলাদেশ সময় সোমবার বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোম থেকে এ বছরের চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শারীরতত্ত্বে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস।

নোবেলজয়ী এই বিজ্ঞানীরা পাবেন একটি নোবেল মেডেল, একটি সনদপত্র এবং মোট ১১ মিলিয়ন বা ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা। এর বর্তমান বাজারমূল্য ১০ লাখ ৬৭ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকার সমান। এই দুই নোবেলজয়ীর মধ্যে এই ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা ভাগ হয়ে যাবে।
 
ভিক্টর অ্যামব্রোস ১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত একই প্রতিষ্ঠানে পোস্টডক্টরাল গবেষণা করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যামব্রিজ, ম্যাসাচুসেটসের প্রধান গবেষক হিসেবে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি ম্যাসাচুসেটস মেডিক্যাল স্কুলে ন্যাচারাল সায়েন্সের প্রফেসর হিসেবে কর্মরত আছেন।

গ্যারি রাভকুন ১৯৫২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতাল এবং হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের প্রধান গবেষক হন। বর্তমানে তিনি হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলে জেনেটিকসের প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

চিকিৎসাশাস্ত্রে গত বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ক্যাথলিন কারিকো এবং ড্রিউ ওয়েইসম্যান। তাঁরা এমআরএনএভিত্তিক করোনা টিকা আবিষ্কারের জন্য এই পুরস্কার অর্জন করেছিলেন।

প্রসঙ্গত, নোবেল পুরস্কার বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার হিসেবে বিবেচিত, যা ১৯০১ সাল থেকে প্রদান করা হচ্ছে। এই পুরস্কারের নামকরণ করা হয়েছে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে। উনবিংশ শতকে তিনি ডিনামাইট আবিষ্কার করে বিপুল সম্পত্তির মালিক হন। তিনি উইল করে যান যে তাঁর সম্পদ থেকে প্রতি বছর পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি এবং সাহিত্য এই পাঁচটি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের পুরস্কার দেওয়া হবে। ১৯৬৯ সাল থেকে অর্থনীতিও এই তালিকায় যুক্ত হয়।