নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
ভাঙচুরের পর যাত্রাবাড়ী থানা | ফাইল ছবি |
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলি করে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনা সরকারের সাতজন সাবেক সচিবসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফারুক আহম্মেদ জানিয়েছেন, "এই মামলায় খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে।"
মামলায় সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন (বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব), সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও আহমেদ কায়কাউস, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও ফয়েজ আহমেদ এবং সাবেক নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে শেখ হাসিনা, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়াদ্দারও আসামি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যাত্রাবাড়ীতে মেহেদী হাসান নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের ৯৪ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা হয়েছে। নিহত মেহেদীর চাচা মো. নাদিম মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে শেখ হাসিনাসহ অন্য আসামিরা উসকানিমূলক বক্তব্য ও নির্দেশনা দিয়ে হামলা চালাতে নির্দেশ দেন। এরপর আওয়ামী লীগের নেতারা মিছিলে গুলি ছোড়েন, যার ফলে মেহেদী হাসান নিহত হন।
ইতিমধ্যে শেখ হাসিনার সাবেক দুই মুখ্য সচিব গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ছিলেন এবং আবুল কালাম আজাদ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়া সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ারের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে।
যাত্রাবাড়ীর মামলার পাশাপাশি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয় এবং এরপর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় ২২৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৯৩টি খুনের অভিযোগ।
এছাড়া, রাজধানীর হাতিরঝিলে ইসমাইল নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। মামলায় বলা হয়, কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি চালানোর ফলে ইসমাইল নিহত হন।