শরতের আয়োজনে নৃত্য পরিবেশন করেন ছায়ানটের শিল্পীরা। ৫ অক্টোবর, ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবন মিলনায়তনে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের দিনের শুরুটা বৃষ্টিভেজা সকালে, শরতের গানের সুরে। দেশের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট তাদের ঋতুভিত্তিক আয়োজনে আজ শনিবার আয়োজন করেছে "শরতের স্নিগ্ধতা মুছে দিক মলিনতা"। ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে সকাল সাতটায় শুরু হয় এ অনুষ্ঠান।

প্রথমেই কোরাস গানে ও নাচে পরিবেশিত হয় "ওগো শেফালি বনে মনের কামনা"। ছায়ানটের শ্রোতারা জানান, অনুষ্ঠানগুলিতে সাধারণত কোনো বক্তব্য থাকে না। একের পর এক পরিবেশনা স্রোতের মতো চলতে থাকে। কোরাস গানের সাথে নাচ, একক কণ্ঠে গান, আবৃত্তি ও পাঠ ছিল আয়োজনের অংশ, যেখানে সবকটি পরিবেশনাই ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা থেকে নেওয়া।

শুভ্র পোশাকে সাজানো শিল্পীরা শরতের মেঘ, কাশফুল আর আকাশের নীলের সাথে মিল রেখে অংশ নেন। প্রথম একক গানটি ছিল সেমন্তী মঞ্জরীর কণ্ঠে "আলোর অমল কমল খানি কে ফুটালে", আর দীপ্র নিশান্ত গেয়েছেন "কার বাঁশি নিশিভোরে বাজিল মোর প্রাণে"। বাঁশির সেই সুরে কবির হৃদয় জেগে উঠেছিল।

ডালিয়া আহমেদ পাঠ করেন ‘ছেলেবেলার শরৎকাল’ থেকে, এবং এভাবেই গানের সুর, নাচের ছন্দ আর পাঠ দিয়ে অনুষ্ঠান এগিয়ে চলে। ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ বলেন, "প্রকৃতির সৌন্দর্য তুলে ধরে মানুষের সৌন্দর্যবোধ জাগানোর জন্যই ছায়ানট এই আয়োজনগুলো করে।"

গানের সুরে, নাচের ছন্দে এগিয়ে যায় ছায়ানটের শরতের আয়োজন। ৫ অক্টোবর, ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবন মিলনায়তনে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

বৃষ্টির কারণে আয়োজনটি রবীন্দ্র সরোবরে করা সম্ভব হয়নি। তবে ছায়ানটের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং আমন্ত্রিত শিল্পীদের মিলিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক শিল্পী অংশ নেন। একক পরিবেশনায় ছিলেন লাইসা আহমদ লিসা, প্রিয়াংকা ভট্টাচার্য, ফারজানা আক্তার প্রমুখ। অনুষ্ঠানের অন্যতম গানগুলো ছিল ‘বাজিল কাহার বীণা’, ‘শরৎ আলোর কমল বনে’, এবং ‘আমারে ডাক দিল কে’।

শরতের কবিতা আবৃত্তি করেন রফিকুল ইসলাম। "আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায়" কোরাস গান ও নাচের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে, প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই পরিবেশনার সমাপ্তি ঘটে।