বসুন্ধরা গ্রুপের লোগো

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিপুল জমি দখল ও অর্থপাচারের অভিযোগে সিআইডি তদন্ত শুরু করেছে, এবং এর ফলে তাদের 'ব্যবসায়িক সুনাম' ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে দাবি করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। কোম্পানিটি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সহায়তা চেয়ে কার্যালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে, যাতে তাদের বিরুদ্ধে দেশে ও বিদেশে চলমান 'মানহানিকর বিবৃতি ও প্রপাগান্ডা' বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

দেশের সবচেয়ে বড় আবাসন কোম্পানি বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও তার ছেলে সায়েম সোবহান আনভীরসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দেড় লাখ কোটি টাকার জমি দখল ও অর্থপাচারের অভিযোগ তুলে সিআইডি ৫ সেপ্টেম্বর অনুসন্ধানে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগে, ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ কোম্পানির বিরুদ্ধে 'কর ফাঁকির' মতো গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অনুসন্ধান শুরু করে।

সিআইডি অনুসন্ধান করে জানায়, বসুন্ধরা গ্রুপের বিরুদ্ধে 'প্রতারণা, জালিয়াতি, শুল্ক ও ভ্যাট ফাঁকি' এবং 'আন্ডার ইনভয়েসিং ও ওভার ইনভয়েসিং' করে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। সিআইডির তথ্য অনুযায়ী, বসুন্ধরা আবাসিক প্রকল্পের জমির একটি অংশ রাজউকের অনুমোদন থাকলেও বেশিরভাগ জমি অনুমোদন ছাড়াই দখল করা হয়েছে।

বসুন্ধরা গ্রুপের বিরুদ্ধে প্রকাশিত এসব অভিযোগের কারণে তাদের 'সুনামহানি' ঘটেছে, যা ব্যবসায়িক কার্যক্রমে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। এ কারণে, আহমেদ আকবর সোবহান প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি পাঠিয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের সুরক্ষার অনুরোধ জানিয়েছেন।

চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, বসুন্ধরা গ্রুপ গত ৪০ বছরে 'সবসময় দেশের নিয়ম ও বিধি মেনে চলেছে' এবং 'ঋণ খেলাপি' হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটায়নি। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সিআইডির তদন্তের আওতায় বসুন্ধরা গ্রুপের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উত্থাপিত হলেও তা তদন্ত ছাড়া ও প্রমাণ ছাড়া করা উচিত নয়।

এদিকে, বসুন্ধরা গ্রুপের আইনজীবী ব্যারিস্টার সুহান খান জানান, "সিআইডির তদন্তের আগে মিডিয়ায় আসা প্রতিবেদনগুলোতে গ্রুপটির বিরুদ্ধে অব্যাহত সমালোচনা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।"

আহমেদ আকবর সোবহান চিঠিতে জানান, "বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে লাখো মানুষের জীবিকা জড়িত এবং তাদের সম্মানহানির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।"