ইশিবা শিগেরু | ছবি: সংগৃহীত |
পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক: জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ইশিবা শিগেরু, যিনি প্রতিরক্ষানীতি–সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত। তিনি আগে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দেশের প্রতিরক্ষা খাতের বাজেট বাড়াতে সরকারের ওপর চাপ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি প্রতিরক্ষা খাতের উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে আগ্রহী।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইশিবা একবার বলেছেন, এশিয়ার জন্য একটি নতুন ন্যাটো জোট গড়ার কথা। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ছায়ার আওতায় থাকার বিষয়ে সন্তুষ্ট, তবে জোটকে সমতাপূর্ণ অংশীদার করার প্রচেষ্টাও করছেন। কিন্তু এই দুই ধারণার কারণে তাকে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে।
ইশিবা তার ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওয়াইয়া তাকেশিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। তবে সমতাপূর্ণ জোট গড়ার আকাঙ্ক্ষা যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর বাধার মুখে পড়তে পারে, কারণ ওয়াশিংটন সামরিক বাহিনীর অবস্থান সংক্রান্ত চুক্তি পরিবর্তন করতে আগ্রহী নয়।
এশিয়ার ন্যাটো গড়ার পরিকল্পনার জন্যও সমালোচনা হচ্ছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা এমন জোটে যোগ দিতে আগ্রহী নয়। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোও চীনের সঙ্গে গড়ে ওঠা সম্পর্কের কারণে ন্যাটোর অনুরূপ জোট গঠনের ধারণার প্রতি অনাগ্রহী। চীন এখন অর্থনৈতিকভাবে জাপানের সঙ্গে খুব বেশি পিছিয়ে নেই এবং এই অঞ্চলে চীনের বিনিয়োগ ব্যাপক।
এশিয়ার দেশগুলো মনে করছে, ন্যাটোর অনুরূপ জোটে যোগ দিলে তারা চীনের বিরাগভাজন হয়ে উঠবে, তাই তাদের জন্য নিরাপদ থাকবে দূরে থাকা। তাই ইশিবার এশিয়ার ন্যাটো গড়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে শুধুমাত্র দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান ও ফিলিপাইনই এতে যোগ দিতে পারে। জাপান এই বাস্তবতা বুঝতে পারছে, সম্ভবত এ কারণেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইওয়াইয়া জানিয়েছেন, এশিয়ার জন্য সামরিক জোট গঠনের চিন্তা তাদের নেই। এর ফলে দেখা যাচ্ছে, জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষা নীতির দিক থেকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন।