গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় হাতির পায়ের নিচে পিষ্ট হয়ে মাহুত নিহত হওয়ার পর হাতিটিকে নিয়ন্ত্রণ করছেন আরেক মাহুত | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় হাতির পায়ের নিচে পিষ্ট হয়ে মাহুতের (পরিচালনাকারী) মৃত্যু হয়েছে।

 মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার হিরণ ইউনিয়নের পোলসার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নজরুল ইসলাম (৩৫) কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা গ্রামের জাবের শেখের ছেলে।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের নজরুল ইসলাম ও পটুয়াখালীর হাসান নামের দুই ব্যক্তি কোটালীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে হাতি দিয়ে টাকা তোলেন। আজ সকাল ১০টার দিকে উপজেলার পোলসার এলাকায় বিভিন্ন দোকান থেকে টাকা তুলছিলেন তাঁরা। এ সময় হাতির পিঠে ছিলেন মাহুত নজরুল ইসলাম। তিনি ভুল সংকেত দিলে হাতিটি রেগে তাঁকে পিঠ থেকে ফেলে দিয়ে পায়ের নিচে পিষে ফেলেন। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

গোপালগঞ্জ বন বিভাগের জেলা বন কর্মকর্তা বিবেকানন্দ মল্লিক বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। এলাকাবাসী, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় কোটালীপাড়ার কুশলা গ্রাম থেকে মো. হাসান নামের অন্য এক মাহুতসহ হাতিটি আটক করি। কেন্দ্রে (ঢাকায়) বন বিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে একটি টিম রওনা হয়েছে। তারা এসে সিদ্ধান্ত নেবে হাতিটি ছেড়ে দেওয়া হবে নাকি অন্য কিছু করা হবে।’

কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নজরুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, নিহত নজরুল ইসলামের সহকারী মো. হাসান তাঁর সঙ্গে ছিলেন। নজরুল ইসলাম নিহত হওয়ার পর হাসানকে হাতির পিঠে বসিয়ে রাখা হয়েছে হাতিটি নিয়ন্ত্রণের জন্য। তবে ওই দুজন হাতিটিকে নিয়ে কোথা থেকে এসেছেন, তা এখনো জানতে পারেননি।

ওসি বলেন, নিহত নজরুলের সহকারী হাসান এলোমেলো তথ্য দিচ্ছেন। এখন এক কথা পরে অন্য কথা বলছেন। তিনি একবার বলছেন, হাতিটি সিলেট থেকে এনেছেন। পুলিশ হাতির প্রকৃত মালিকের খোঁজ পায়নি। বন বিভাগের দল এলে তাঁদের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।