কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি কক্সবাজার: অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক বলেছেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। আশ্রয়শিবিরে যারা খুনখারাবি, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে, তাদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। যাঁরা রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে বসবাস করছেন, তাঁদের সবাইকে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখে বসবাস করতে হবে। তাঁদের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি সরকার দেখবে।
মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গা নেতা (মাঝি), মৌলভি ও নারীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথাগুলো বলেন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প ৮ পশ্চিম) একটি সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে কক্সবাজারের কয়েকটি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, অতিরিক্ত সচিব মো. হাসান সারওয়ার, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন, ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক মো. ইকবাল, ৮ এপিবিএনের অধিনায়ক মো. আমির জাফর প্রমুখ।
উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম উখিয়ার মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরে ডব্লিউএফপি পরিচালিত রোহিঙ্গাদের কেনাকাটার ই-ভাউচার আউটলেট ও রেশন উত্তোলন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। এ ছাড়া হোপ হসপিটাল ফর উইমেনসহ কয়েকটি প্রকল্প ঘুরে দেখেন।
এরপর সন্ধ্যায় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম বলেন, ‘নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের কারণে সংকটের চাপ আরও বাড়ছে। আমরা চাই রোহিঙ্গারা সম্মানের সঙ্গে কালকেই নিজ দেশ মিয়ানমারে চলে যাক।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তো কাউকে অনুপ্রবেশ করাচ্ছি না, তাঁরা কোনো না কোনোভাবে আসছেন। বিষয়টি আসলে মানবিক। এখনো রেজিস্ট্রেশন হয়নি, তাই নতুন কতজন প্রবেশ করেছেন, তার সংখ্যাটি বলা যাচ্ছে না।’
প্রেস ব্রিফিংয়ের আগে আরআরআরসি কার্যালয়ে কক্সবাজারের বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও), সরকারি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তার সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপদেষ্টা।