কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো | ফাইল ছবি: রয়টার্স |
পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক: রাজনৈতিকভাবে বড় ধাক্কা খেলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। পার্লামেন্টে তাঁর লিবারেল পার্টির সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছে বামপন্থী দল নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি)। দলটির নেতা জগমিত সিং গত বুধবার এক ভিডিও বার্তায় এমন ঘোষণা দিয়েছেন।
বার্তায় জগমিত সিং বলেন, ‘আজ আমি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি যে আমাদের মধ্যে “সাপ্লাই অ্যান্ড কনফিডেন্স” নামের যে চুক্তি ছিল, তা থেকে সরে এসেছি। মানুষের জন্য লড়াইয়ের ক্ষেত্রে লিবারেলরা খুবই দুর্বল, স্বার্থপর ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বার্থকেন্দ্রিক। তাঁরা মানুষের আশার আলো দেখাতে পারবেন না।’
এনডিপি ও লিবারেলদের মধ্যে ওই চুক্তিটি করা হয়েছিল ২০২২ সালে। এর মাত্র ছয় মাস আগেই তৃতীয় মেয়াদে কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন জাস্টিন ট্রুডো। চুক্তিটি ২০২৫ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকার কথা ছিল। গত সপ্তাহেই জগমিত সিংকে চিঠি দিয়ে ওই চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিল প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি।
এনডিপির এই সমর্থন প্রত্যাহারের অর্থ হলো পার্লামেন্টে আস্থা ভোট বা আগাম নির্বাচন এড়াতে এখন লিবারেলদের অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থন খুঁজতে হবে। এ নিয়ে কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড প্রদেশে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো বলেছেন, ‘আমি রাজনীতিতে অন্য দলগুলোর তৎপরতা বাড়ানোর সুযোগ দেব।’
কানাডার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে বর্তমানে লিবারেল পার্টির ১৫৪ জন সদস্য রয়েছেন। কনজারভেটিভ দলের সদস্য রয়েছেন ১১৯ জন। রাজনৈতিক দল ব্লক কিউবিকোইসের সদস্য রয়েছেন ৩২ জন। আর এনডিপির সদস্য ২৪ জন। এর বাইরে গ্রিন পার্টির দুজন ও স্বতন্ত্র তিনজন সদস্য রয়েছেন। আসন খালি রয়েছে চারটি।
আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখা দিলেও তা ২০২৫ সালের বসন্তের আগে আয়োজন করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকদের অনেকে। দেশটির কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্টেফানি সোইনার্ড বলেন, ‘সাধারণ একটি নিয়ম রয়েছে, আমরা আবহাওয়ার কারণে শীতের সময় নির্বাচন এড়িয়ে চলি। তাই এ সময় ঝড়ের কারণে বিরূপ পরিস্থিতি থাকে।’