সৌরভ হোসেন টুনটুনি | ফাইল ছবি |
প্রতিনিধি বগুড়া: বগুড়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছেন পাবনার ঈশ্বরদীতে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সৌরভ হোসেন টুনটুনি ওরফে হাতকাটা টুনটুনি (২৫)।
শনিবার রাত ১১টার দিকে তাকে সদরের নিশিন্দারা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সে উপজেলার পাকশী ইউনিয়ন রূপপুর মোড় এলাকার তানজির রহমান তুহিনের ছেলে। টুনটুনি বগুড়া এলাকায় জনৈক এক ব্যক্তির বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, গত ১০ আগস্ট রাতে উপজেলার কামারগারি এলাকায় স্থানীয় বিএনপি নেতা রবিউল হক কানুর তিনটি দোকান ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগ উঠে টুনটুনি এবং তার ৭ থেকে ৮ জন সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ সময় কয়েকটি গুলির শব্দও শোনা যায়। গুলির ঘটনায় পুরো সরকারি আজিজুল হক কলেজ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে লালু নামে একজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় সৌরভ হোসেন টুনটুনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, টুনটুনির বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৪টি মামলা রয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইহান ওলিউল্লাহ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, '১০ আগস্ট সংঘটিত সংঘর্ষের ঘটনায় তাঁর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। গোপন সূত্রে তাঁর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।'
প্রসঙ্গত, মাদক ও অস্ত্র, অবৈধ বালু ব্যবসা, জমি দখল ও চাঁদাবাজির কারণে টুনটুনির পরিচিতি রয়েছে পাকশী ইউনিয়নের ক্যাডার হিসেবে। ২০১৫ সালে ১ জুন প্রকাশ্য দিবালোকে পাকশী পেপার মিলের সামনের রাস্তায় টুনটুনির পুরো একটি হাত চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলো ছাত্রলীগেরই প্রতিপক্ষ গ্রুপ। এই হাত নিয়ে মোটরসাইকেলে করে উল্লাস প্রকাশ করেছিলো সকলে। এর জের ধরে ২০১৮ সালে ২ এপ্রিল পাকশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সদরুল আলম পিন্টুকে হত্যা করে টুনটুনি। ২০১৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আপন ভাই তাফসির আহম্মেদ মনাকে শাসন করায় শ্রেণীকক্ষে ঢুকে সহকারী প্রধান শিক্ষককে মারধর করেছিলেন টুনটুনি। অবশ্য ২০২৩ সালের ১৭ জুন রাত ১১টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের এমপি মোড়ে দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া গুলিতে নিহত হন তাঁর ভাই মনাও।