রাঙামাটির বিভিন্ন এলাকায় দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাঙামাটি-খাগড়াছড়িতে সহিংসতা ও হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। যেকোনো ছোট ঘটনায় পার্বত্য জেলাগুলো বারবার কেন অশান্ত হয়ে উঠে, তার কারণ উদ্ঘাটন করে অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়ারও দাবি জানিয়েছে তারা।
আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে সংগঠনগুলো। এক বিবৃতিতে নারীপক্ষ বলছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। পাহাড়ের মানুষেরাও এ দেশের নাগরিক। তাই পাহাড়ে সহিংসতা বন্ধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং তাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
গণমাধ্যমে পাঠানো আরেক বিবৃতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে হত্যা, সংঘাত, দোকানপাট, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, পার্বত্য জেলাগুলোতে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া দরকার। সংঘাতের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করে সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে পাহাড়িদের ওপর হামলা, গুলিবর্ষণ, বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগে হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ্ন জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।
এক বিবৃতিতে এমএসএফ বলেছে, পার্বত্য জেলাগুলোতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের আইনগত বাধ্যবাধকতা। শান্তিচুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়িত না হওয়ায় জুম্মো সম্প্রদায় অনেকাংশে অবহেলিত থেকে যাচ্ছে। সম্প্রতি সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে তারা।
পার্বত্য চট্টগ্রামে এ ধরনের সংঘর্ষ-সহিংসতার ঘটনা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত ও বর্বরোচিত বলে মনে করে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ্ন প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী আদিবাসী জনগোষ্ঠীসহ সব নাগরিকের জন্য নিরাপদ পরিবেশ। আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়া এবং ধ্বংসাত্মক কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি।’