নগদের প্রশাসককে সাবেক এমডির হুমকির অভিযোগ, থানায় জিডি

মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’

নিজস্ব প্রতিবেদক: মোবাইলে আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিযুক্ত প্রশাসককে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন নগদের প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার। জিডিতে তিনি প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন।

সরকার পরিবর্তনের পর গত ২১ আগস্ট ‘নগদ’ পরিচালনার জন্য প্রশাসক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনায় ছয়জন কর্মকর্তাকে ‘সহায়ক কর্মকর্তা’ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরদিন বাংলাদেশ ব্যাংক ও ডাক বিভাগের কর্মকর্তারা নগদের কার্যালয়ে গিয়ে পুরো প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন।

তবে নগদ আগের মতোই স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটিতে আগে নিয়োগ করা কর্মীরাই দায়িত্ব পালন করছেন। শুধু সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ, নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মারুফুল ইসলাম দায়িত্বে নেই। এই তিনজনই নগদের মালিকানার সঙ্গে যুক্ত।

রাজধানীর বনানী থানায় করা জিডিতে একটি ফোন নম্বর উল্লেখ করে বদিউজ্জামান দিদার বলেন, ৪ সেপ্টেম্বর নগদের সাবেক সিইও তানভীর এ মিশুক তাঁর মুঠোফোনে হোয়াসটঅ্যাপের মাধ্যমে খুদে বার্তা পাঠিয়েছেন। তিনি ওই খুদে বার্তার বক্তব্যে ‘একধরনের হুমকি বোধ’ করছেন। সে কারণে তিনি এ বিষয়ে জিডির আবেদন করেন।

এই অভিযোগের বিষয়ে তানভীর আহমেদ মিশুকের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। নগদে যখন প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত হয়, তখন তিনি বিদেশে অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।

নগদের প্রশাসকের অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক  বলেন, নগদে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োজিত প্রশাসক বিভিন্ন হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন। এ কারণে তিনি থানায় জিডি করেছেন। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ডাক বিভাগ পুরো নগদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে।

মেজবাউল হক আরও বলেন, ‘নগদের গ্রাহকদের আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই৷ এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব সেবা স্বাভাবিকভাবে চলবে।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, নগদের কার্যক্রমের বিষয়ে নিরীক্ষা পরিচালনা করার ব্যাপারে আলোচনা চলছে। নিরীক্ষা হলেই বের হয়ে আসবে যে প্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না।