মামলা | প্রতীকী ছবি |
প্রতিনিধি গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নামে দুটি মামলা হয়েছে। গত মঙ্গল ও বুধবার রাতে মামলা দুটি করা হয়। দুই মামলায় ৯০ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার আমিনুর রহমান দুটি মামলার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মুক্তার হোসেন মিয়া এবং জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও এস এম জিলানীর ভাতিজা জুলকার শেখ বাদী হয়ে টুঙ্গিপাড়া থানায় দুটি মামলা করেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী গোপালগঞ্জ সদরের বেদগ্রামে অনুষ্ঠিত এক পথসভা শেষে নিজ গ্রাম টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছিলেন। পথে উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় একদল লোক মাইকিং করে দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গাড়িবহরে হামলা করেন। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ ছাড়া সাংবাদিকসহ আরও অন্তত ৫০ জন আহত হন। বিএনপির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছেন।
দুটি মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক পারভেজ রুমি, কুশলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সরদার, পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফকরুল কাজী, কাউন্সিলর দেলোয়ার কাজী, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আসলাম সরদার, উপজেলা যুবলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সজল খলিফাসহ পাটগাতী, বর্নি ও কুশলী ইউনিয়নের মোট ৯০ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়।
টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার আমিনুর রহমান বলেন, মঙ্গল ও বুধবার রাতে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও শ্রমিক দলের নেতা বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নামে মামলা করেছেন। পলাতক থাকায় এখনো এই মামলার কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।