রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের বৈঠক। রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের কনস্টান্টিনোভস্কি প্রাসাদে, ১২ সেপ্টেম্বর | ছবি : এএনআই

পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক ইউক্রেন সফরসংশ্লিষ্ট বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার কনস্টান্টিনোভস্কি প্রাসাদে পুতিনের সঙ্গে এক বৈঠকে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত দোভাল ওই বার্তা পৌঁছে দেন।

বৈঠকে দোভাল পুতিনকে বলেন, ‘তিনি (মোদি) তাঁর ইউক্রেন সফর ও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে আপনাকে জানাতে আগ্রহী ছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন, আমি বিশেষভাবে ও ব্যক্তিগতভাবে আপনাকে ওই বৈঠকের বিষয়ে জানাতে আসি। আলোচনাটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এতে শুধু দুই নেতা (মোদি ও জেলেনস্কি) অংশ নিয়েছিলেন।’

দোভাল এমন এক সময়ে পুতিনের সঙ্গে দেখা করলেন, যখন রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান সংঘাত সমাধানে নরেন্দ্র মোদি কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছেন। গত আগস্টে কিয়েভ সফর করেন মোদি। এর আগের মাসে পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তখন দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হওয়া কিছু ‘আকর্ষণীয় পরিকল্পনা’ সম্পর্কে কিয়েভে জেলেনস্কিকে জানিয়েছিলেন মোদি। জুলাইয়ে রাশিয়া ও আগস্টে ইউক্রেন সফরে মোদির সঙ্গে ছিলেন অজিত দোভাল।

রাশিয়ায় বর্তমানে ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সম্মেলন চলছে। এ সম্মেলনের এক ফাঁকে পুতিন ও দোভালের মধ্যে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বৈঠকে পুতিন আগামী ২২ অক্টোবর রাশিয়ার কাজান শহরে ব্রিকসের আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে মোদির সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের প্রস্তাব দেন। তখন তাঁরা নিজেদের আগের বৈঠকের আলোচনার বিষয়গুলো পর্যালোচনা করবেন এবং নতুন সম্ভাবনার রূপরেখা নির্ধারণ করবেন।

এদিকে বৃহস্পতিবারই রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠক করেছেন অজিত দোভাল। এ বৈঠকও ব্রিকসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সম্মেলনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, চীন ও ভারত—দুই দেশের সীমান্তে লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) নিয়ে এখনো যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলোর প্রাথমিক সমাধানে সম্প্রতি যেসব প্রচেষ্টা হয়েছে, সেগুলো পর্যালোচনার সুযোগ তৈরি হয়েছে ওয়াং ই ও অজিত দোভালের বৈঠকে। এতে দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠন ও স্থিতিশীল করার সুযোগ তৈরি হবে।