বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কিশোরী নিহতের ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে এক কিশোরী নিহতের ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে মঙ্গলবার রাতে প্রতিবাদ সমাবেশ হয় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক কিশোরী নিহতের ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে প্যারিস রোডে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা ভারতীয় আগ্রাসন ও সীমান্তে হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। পরে এ রকম ঘটনা ঘটলে ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও করারও হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

সমাবেশে একাত্মতা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘ভারত যেভাবে সীমান্তে হত্যাকাণ্ড চালায় পৃথিবীর আর কোনো সীমান্তেই এ রকম হত্যাকাণ্ড চালানো হয় না। আমরা কোনোভাবেই আর এ রকম হত্যাকাণ্ড মেনে নেব না। আমরা জনগণ রুখে দিতে প্রস্তুত আছি।’ সীমান্তে হত্যা শূন্যতে নিয়ে আসতে ভারতকে চাপ প্রয়োগ করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতেখারুল আলম মাসউদ বলেন, ‘পৃথিবীর বহু দেশেই সীমান্ত আছে। আগে আমাদের সীমান্তের এ পরিস্থিতি ছিল না। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে তারা এই ঘৃণ্য কাজের সাহস করেছে।’

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক ও দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘ফেলানী থেকে স্বর্ণা পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্তে কোনো হত্যাকাণ্ডের কথাই ভুলিনি। কিছুদিন আগেও তারা ডুম্বুর বাঁধ খুলে দিয়ে আমাদের হত্যা করেছে। এটিও একধরনের কাঠামোগত নিপীড়ন। এই নিপীড়ক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’

কর্মসূচিটি সঞ্চালনা করেন পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মারুফ। সমাবেশে বিভিন্ন বিভাগের ২০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার লালারচক সীমান্তে গত রোববার রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে স্বর্ণা রানী প্রাণ হারায়। পরে বিএসএফ তার লাশ নিয়ে যায়। পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের কালনীগড় গ্রামের বাসিন্দা পরেন্দ্র দাসের মেয়ে স্বর্ণা রানী। সে স্থানীয় নীরদ বিহারী উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত।