জয়পুরহাট সদর থানার প্রধান ফটক | ফাইল ছবি

প্রতিনিধি জয়পুরহাট: জয়পুরহাট সদর থানার অস্ত্রাগার থেকে লুট হওয়া ৪৪টি অস্ত্রের মধ্যে গতকাল বুধবার পর্যন্ত ৭টি অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি। এর মধ্যে ছয়টি পিস্তল ও একটি রাইফেল আছে। এসব অস্ত্র বাইরে থাকায় অবৈধ কাজে ব্যবহারের আশঙ্কা আছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় বিক্ষুব্ধ লোকজন জয়পুরহাট সদর থানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের পর অগ্নিসংযোগ করে।

জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, ওই রাতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে থানায় আটকে পড়া পুলিশ সদস্যদের নিরাপদে সরিয়ে নেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এ সময় সংঘর্ষে মেহেদী নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এরপর বিক্ষুব্ধ লোকজন থানার অস্ত্রাগারের তালা ভেঙে অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। ওই ঘটনার পর আনসার সদস্যদের থানা পাহারার দায়িত্বে রাখা হয়। পরে লুট হওয়া কিছু অস্ত্র পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেলে সেগুলো থানায় জমা দেওয়া হয়েছিল।

এ বিষয়ে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ফারজানা হোসেন গতকাল বলেন, গত ৫ আগস্ট রাতে জয়পুরহাট সদর থানার অস্ত্রাগার থেকে ৪৪টি অস্ত্র খোয়া যায়। এ পর্যন্ত ৩৭টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ফলে বাকি সাত অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। খোয়া যাওয়া এসব অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ তৎপর বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।