ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলে শস্য বহনকারী ট্রাকবহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। শনিবার দিবাগত রাতে | ছবি: রয়টার্স
পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক: রাশিয়ার একাধিক জ্বালানি ও বিদ্যুৎ স্থাপনায় রাতভর ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এতে দুটি স্থাপনায় আগুন লেগেছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, শনিবার দিবাগত রাতে মস্কোসহ দেশটির ১৫টি অঞ্চলে ১৫৮টির বেশি ড্রোন দিয়ে এ হামলা চালানো হয়। তবে হামলাগুলো ঠেকিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে রুশ বাহিনী।
গতকাল রাতের হামলায় মস্কোর একটি তেল শোধনাগারে আগুন লেগেছে বলে জানিয়েছেন রাজধানী শহরটির মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন। তিনি বলেন, ড্রোন হামলার কারণে তেল শোধনাগারটির আলাদা একটি কক্ষে আগুন লাগে। অন্তত ১১টি ড্রোন দিয়ে রাজধানী মস্কো ও আশপাশের এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে মস্কো থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে ভার অঞ্চলের কোনাকোভো বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গেছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে আগুন ধরেছে বলে রুশ গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এ অঞ্চলের গভর্নর ইগর রুদেনিয়া আগুন ধরার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
মস্কো অঞ্চলের কাশিরা বিদ্যুৎকেন্দ্রেও ড্রোন হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। তবে হামলার কারণে সেখানে আগুন ধরেনি। কোনো ক্ষতি বা হতাহতেরও ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
গতকাল রাতের ড্রোন হামলা নিয়ে ইউক্রেন এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। কয়েক মাস ধরেই রাশিয়ার বেশ ভেতরে দূরপাল্লার হামলা বাড়িয়েছে তারা। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমা প্রযুক্তি ও অর্থের সহায়তায় এসব দূরপাল্লার হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন।
এদিকে গতকাল দিবাগত রাতে ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলে শস্য বহনকারী ট্রাকের বহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে ২৩ বছর বয়সী এক ট্রাকচালক নিহত হয়েছেন। হামলায় একটি ট্রাকে আগুন ধরে গেলে আরও চারজন আহত হন। ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় ২০টি ট্রাক।
সুমি অঞ্চলের সঙ্গে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের সীমান্ত রয়েছে। কুরস্ক অঞ্চলে সম্প্রতি স্থল অভিযান শুরু করে ইউক্রেন। অভিযানের প্রথম দিকে দ্রুত এগোলেও গত কয়েক দিনে সেখানে ইউক্রেনের সেনাদের অগ্রগতি কমেছে। ইউক্রেনের দাবি, তারা ১০০টি বসতিসহ কুরস্ক অঞ্চলের প্রায় ১ হাজার ২৯৪ বর্গকিলোমিটার দখলে নিয়েছে।
এরই মধ্যে ইউক্রেনের পূর্ব দিকের দোনেৎস্ক অঞ্চলে পোকরোভস্ক নামের একটি শহরের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছেন রুশ সেনারা। শহরটি দখলে নেওয়ার জন্য কয়েক মাস ধরে লড়ছেন তাঁরা। ইউক্রেনের সেনাদের কাছে প্রয়োজনীয় রসদ পাঠানোর জন্য শহরটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশন রয়েছে। তা ছাড়া শহরটি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সংযোগস্থল।