বক্তব্য দিচ্ছেন ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান | ছবি: ডিএমপির সৌজন্যে |
নিজস্ব প্রতিবেদক: থানায় মামলা হলেই এজাহারনামীয় আসামি ধরতে হবে, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তদন্ত সাপেক্ষে আসামি ধরা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান।
আজ রোববার সকালে ডিএমপি সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ক্রিমিনাল ইভেন্ট কখনো তামাদি হয় না। পুলিশ হত্যা এবং থানায় লুটপাটের ঘটনায়ও মামলা হবে।’ গণহারে মামলা ও এজাহারে সাংবাদিকদের নাম দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এজাহারে নাম থাকলেই গ্রেপ্তার করতে হবে, বিষয়টা এ রকম নয়। তদন্ত করে তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে সব মামলায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, পুলিশের ১৭৭টি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক স্থাপনার ক্ষতি হয়েছে। সেসব মেরামতের কাজ চলছে। দুই–এক সপ্তাহের মধ্যে সব থানায় স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরবে।
ডিএমপি সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ডিএমপি কমিশনার | ছবি: ডিএমপির সৌজন্যে |
ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে দাবি করে মাইনুল হাসান বলেন, ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা এখন গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছেন। ধীরে ধীরে আরও উন্নতি হবে। ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশ আরও সক্রিয় হবে। পুলিশের টহল ও চেকপোস্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পুলিশের মনোবল চাঙা করতে কাজ চলছে।
ডিএমপির প্রধান বলেন, বিভিন্ন দাবি নিয়ে লোকজন রাস্তায় নেমে অবরোধ করে যানজট সৃষ্টি করছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা প্রধান সড়কে উঠে যাচ্ছে। পুলিশ এসব নিয়ে কাজ করছে। রাস্তা ও ফুটপাত হকারমুক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। ধীরে ধীরে পুলিশ তার স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরছে।
এ সময় ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।