পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক: ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলের একটি সামরিক ইনস্টিটিউটে গতকাল মঙ্গলবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। হামলায় অন্তত ৫১ জন নিহত হয়েছেন। আহত ২৭১ জন।
মধ্যাঞ্চলের শহর পোলতাভার সামরিক ইনস্টিটিউট লক্ষ্য করে রাশিয়া এ দিন পর পর দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। এ বছর এখন পর্যন্ত এটাই ইউক্রেনে রাশিয়ার সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা।
হামলার পর ঘটনাস্থলের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছে। সেগুলোতে দেখা যায়, অনেক তরুণের মৃতদেহ মাটিতে পড়ে আছে। সেগুলো ধুলা ও ধ্বংসস্তূপে ঢাকা। তাদের পেছনে দেখা যাচ্ছে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত একটি বিশাল ভবন।
রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে ছবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
অনেক লোক ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে | ছবি: রয়টার্স |
মঙ্গলবারের হামলার পর বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে এক পোস্টে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি লিখেছেন, ‘এই হামলার জন্য ইতর রাশানদের অবশ্যই জবাব দিত হবে।’
জেলেনস্কি এ ঘটনার দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বলেছেন, হামলায় মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব কমিউনিকেশনের একটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া প্রতিবেশী ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর থেকে জেলেনস্কি নিয়মিত জনগণের উদ্দেশে ভাষণ দেন। মঙ্গলবার রাতে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেছেন, পোলতাভা শহরের সামরিক ইনস্টিটিউটে হামলায় ৫১ জন নিহত হয়েছেন।
জেলেনস্কি বলেন, ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মানুষ আটকা পড়ে আছেন। তাঁদের প্রাণরক্ষা করতে সম্ভাব্য সবকিছু করা হচ্ছে।
হামলার পর ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবা বিভাগ থেকে ৫০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছিল। পোলতাভা অঞ্চলের গভর্নর ফিলিপ প্রোনিন জানান, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো সম্ভবত ১৫ জন চাপা পড়ে আছেন।
নিহত ব্যক্তিরা সবাই সেনাসদস্য বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের পদাতিক বাহিনী। তবে সশস্ত্র বাহিনীর কতজন সদস্য হতাহত হয়েছেন, সেটা তারা নির্দিষ্ট করে বলেনি।
কিয়েভের জন্য এটা একটি বড় ধাক্কা। এমনিতেই দেশটিকে নিজের চেয়ে ক্ষমতাধর শত্রুর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে। এর মধ্যে নিজেদের সেনাসদস্যদের মনোবল চাঙা রাখার চেষ্টা করছে তারা।
রাশিয়া তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।