শামসুল হক টুকু, জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক ও তানভীর হাসান সৈকত | ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: পৃথক মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলকসহ ছয়জনের।

অন্য চারজন হলেন সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আহমদ হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মোহাম্মদ সোহায়েল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।

পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এই আদেশ দেন।

পুলিশ ও আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, লালবাগ থানায় দায়ের করা কলেজছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার শামসুল হক, আরিফ খান ও মোহাম্মদ সোহায়েলকে আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ড নামঞ্জুর করার আরজি জানানো হয়। শুনানি নিয়ে আদালত তিনজনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অন্যদিকে বাড্ডা থানায় দায়ের করা সুমন শিকদার নামের এক যুবক হত্যা মামলায় পলককে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত পলকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এ ছাড়া আদাবর থানায় দায়ের করা পোশাককর্মী রুবেল হত্যা মামলায় আহমদ হোসেন ও তানভীরকে আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। শুনানি নিয়ে আদালত তাঁদের প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৪ আগস্ট গ্রেপ্তার হন শামসুল হক, পলক ও তানভীর। পরদিন পল্টন থানার একটি হত্যা মামলায় এই তিনজনের ১০ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

আহমদ হোসেন ও মোহাম্মদ সোহায়েল গ্রেপ্তার হন গত ২০ আগস্ট। পরদিন পল্টন থানার একটি হত্যা মামলায় তাঁদের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

আরিফ খান গ্রেপ্তার হন গত ১৯ আগস্ট। পরদিন মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এরপর শামসুল হকসহ এই ছয়জনকে লালবাগ থানায় করা কলেজছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় গত ২৫ আগস্ট সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।