স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা

লাশ | প্রতীকী ছবি

প্রতিনিধি গোয়ালন্দ:  রাজাবাড়ীর পাংশা উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর রোববার আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ওই ব্যক্তি এ কথা বলেন।

সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম মো. রতন খাঁ (৩৫)। তিনি পাংশার পাট্টা ইউনিয়নের বিলমন্ডব গ্রামের হারেজ আলী খাঁর ছেলে। তাঁর স্ত্রীর নাম চামেলী বেগম (২৩)। চামেলী উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের পাট্টা গ্রামের আবদুল মালেক মণ্ডলের মেয়ে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে শনিবার রাত ১১টার দিকে স্ত্রী চামেলী বেগমকে তাঁর ওড়না দিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন রতন। হত্যাকাণ্ড ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে স্ত্রীর লাশ ঘর থেকে বারান্দায় বের করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে রতন খাঁ চিৎকার করতে থাকেন।

শ্বশুরবাড়িতেও চামেলীর আত্মহত্যার খবর রতন নিজেই জানান। খবর পেয়ে পাংশা মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আজ ভোরে চামেলী বেগমের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় চামেলী বেগমের বাবা আবদুল মালেক মণ্ডল বাদী হয়ে রতনের বিরুদ্ধে আজ সকালে পাংশা মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।

পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দীন জানান, চামেলীর আত্মহত্যার বিষয়টি পুলিশের সন্দেহ হয়। আজ সকালে থানায় চামেলীর বাবা হত্যা মামলা করলে পুলিশ সন্দেহভাজন খুনি হিসেবে রতন খাঁকে এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে রতন তাঁর স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রেজাউল করিম জানান, আসামি রতন খাঁকে বিকেলে রাজবাড়ীর আদালতে পাঠালে ১৬৪ ধারায় তিনি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দেন। পরে রতনকে কারাগারে পাঠানো হয়।