রোববার ফেনীতে ছাত্রদলের দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি ফেনী: ফেনীতে আধিপত্য বিস্তার ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সাংবাদিকসহ ১৩ জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের রাস্তার মাথায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন ফেনী সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব নজরুল ইসলাম, তাঁতি দলের ইউনিয়ন শাখার নেতা আবদুল মোতালেব, ছনুয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, সহসভাপতি শরীফুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আহসান সুমন ও তাঁর ভাতিজা মো. সামি, ইউনিয়ন ছাত্রদলের স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আক্তার হোসেন, কালীদহ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল আলম, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মাঈন উদ্দিন, ছাত্রদল কর্মী রিফাউল আলম মজুমদার, মেহেদী হাসান এবং স্থানীয় সাংবাদিক জাহিদুল আলম ও এম কাওছার।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাংবাদিক এম কাওছারসহ সাতজনের অবস্থা শঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িত ব্যক্তিরা ফেনী সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব নজরুল ইসলাম ও ছনুয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আহসান সুমনের অনুসারী।
ছাত্রদলের নেতা-কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত শনিবার বিকেলে ছনুয়া ইউনিয়নের তালতলায় একটি ঘরোয়া বৈঠক করেন ফেনী সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব নজরুল ইসলাম। বৈঠক শেষে তাঁদের ওপর হামলা করেন ছনুয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আহসান সুমন ও ফেনী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিনের পক্ষের লোকজন। এ সময় তিনজন আহত হন। পরে আজ সকালেও নজরুল ইসলামের অনুসারী ছনুয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি শরীফুল ইসলাম ও মোশাররফ হোসেনকে রোববার সকালে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের উদ্ধারের জন্য নজরুল তাঁর অনুসারীদের নিয়ে ছনুয়া রাস্তার মাথা এলাকায় অবস্থান নিলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের হাতে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দেখা যায়।
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুজন এবং কোম্পানীগঞ্জ থেকে একজনসহ মোট তিনজনকে আটক করেছে।