মামলা | প্রতীকী ছবি

প্রতিনিধি জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার ঘটনায় দুই সাবেক সংসদ সদস্যসহ (এমপি) ১৯০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন মো. রিমন হোসেন নামের এক তরুণ। এ ছাড়া এতে অন্তত ৩৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। ৫ সেপ্টেম্বর মামলাটি করা হলেও গতকাল শুক্রবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়।

মামলার বাদী মো. রিমন হোসেন জয়পুরহাট সদর উপজেলার আউশগাড়া এলাকার বাসিন্দা। ওই দুই সাবেক এমপি হলেন জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ও জয়পুরহাট-২ আসনের আবু সাঈদ আল মাহমুদ এবং জয়পুরহাট-১ আসনের সামছুল আলম দুদু।

এ মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাহিদুল ইসলাম, জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন কুমার সাহা, জয়পুরহাট মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, কালাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান, জয়পুরহাট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জিম হোসেন, জয়পুরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবু বক্বর সিদ্দিক রেজা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রাসেল দেওয়ান প্রমুখ।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে রিমন অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জয়পুরহাট শহরে এক সমাবেশে যোগ দেন। ওই দিন বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে তাঁরা জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছিলেন। এ সময় তাঁদের দমাতে আবু সাঈদ আল মাহমুদ ও সামছুল আলমের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল ও পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করেন। আবদুর রহিম তাঁর হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিও ছোড়েন। এতে রিমনের দুই পা গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

জয়পুরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ মামলায় ১৯০ জনের নামে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩৪০ থেকে ৩৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।