এস এম তাজুল ইসলাম | ছবি: সংগৃহীত

প্রতিনিধি বগুড়া: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাংগঠনিক দক্ষতা নিয়ে মন্তব্য করায় বগুড়া জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম তাজুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আজ শনিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ নিয়ে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বিভিন্ন অভিযোগে বগুড়া জেলা বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের ১১ নেতাকে বহিষ্কার করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বগুড়া জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক এস এম তাজুল ইসলামকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

জেলা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকার পতনের পর শিবগঞ্জ উপজেলার আটমুল ইউনিয়নে দলীয় কর্মিসভার আয়োজন করা হয়। ওই সভায় বিএনপির নেতা এস এম তাজুল ইসলামের দেওয়া একটি বক্তব্যের কয়েক মিনিটের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাংগঠনিক দক্ষতা নিয়ে তাঁকে মন্তব্য করতে শোনা যায়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ৫ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে তাজুল ইসলামকে বলতে শোনা যায়, ‘আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে যাওয়ার চার দিনের মাথায় শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলম লন্ডনে যান। লন্ডনে তারেক রহমান অত্যন্ত একাকিত্ব বোধ করছিলেন। যখন চূড়ান্ত আন্দোলন, সেই মুহূর্তে সার্বক্ষণিক তিনি (শাহে আলম) তারেক রহমানের পাশে ছিলেন। কখন কী করতে হবে, মানে তারেক রহমানের মাথা কাজ করতেছিল না। কার সাথে যোগাযোগ করতে হবে, কোথায় কী করতে হবে...শাহে আলমের মতো মাঠপর্যায়ের রাজনীতিবিদ তাঁর সাথে ছিল বিধায়, উনি (তারেক রহমান) সঠিক সিদ্ধান্ত প্রয়োগ করতে পেরেছেন।’

জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবদুল বাসেত বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে নিয়ে ধৃষ্টান্তপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরপরই তাজুল ইসলামকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।