ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বৃষ্টি উপভোগ করছেন এক নারী | ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি এখন সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার রাতে এটি নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। আর এর প্রভাবে দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে করে গরম খানিকটা কমতে পারে বলেও আবহাওয়াবিদেরা ধারণা করছেন।

এদিকে লঘুচাপের কারণে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আর নদীবন্দরগুলোতে দেওয়া হয়েছে ১ নম্বর সংকেত।

আজ এই লঘুচাপের প্রভাবে রাজধানীতেও বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

দেশে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে প্রচণ্ড গরম পড়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন স্থানে লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, নীলফামারী, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলায় এবং ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে গেছ। তবে আজ এটি কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তারা বলেছে, আজ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

গতকাল থেকেই বিশেষ করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারে। আজ থেকে বৃষ্টির পরিধি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক। তিনি আজ সকালে বলেন, সাগরের লঘুচাপটি গতকাল রাতে সৃস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আজ রাতে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। এতে বিশেষ করে আগামীকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। আর তাতে তাপমাত্রা খানিকটা কমতে পারে।

দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আজ সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। এটি ধীরে ধীরে মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক। তিনি বলেন, আজ রাতের দিকে রাজধানীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আগামীকাল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।

লঘুচাপের কারণে চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উত্তর বঙ্গোপসাগরে থাকা মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।