প্রতিনিধি বগুড়া: বগুড়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৯৯ জনের নামে মামলা হয়েছে। রোববার শাওন ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গুলি করে তাঁকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলাটি করেন।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কলেজছাত্র গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাদী শাওন ইসলাম বগুড়া সদরের বাঘোপাড়া শহীদ দানেশ উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী। তিনি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীকোলা গ্রামের সুলতান মিঞার ছেলে।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবর রহমান, বগুড়া-৬ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম, এ কে এম আসাদুর রহমান ও সাগর কুমার রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি টি জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদৎ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাছুদুর রহমান প্রমুখ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে বগুড়া শহরের প্রধান সড়কের ঝাউতলা এলাকায় আন্দোলন চলাকালে রিভলবার, পিস্তল, বন্দুক, ককটেল ও দেশি অস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় ককটেল ও পেট্রলবোমা হামলাও করা হয়। আওয়ামী লীগ নেতা আল রাজী জুয়েল তাঁর হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ছুড়লে আন্দোলনে অংশ নেওয়া কলেজছাত্র শাওনের বাম ঊরুতে লাগে। এতে তিনি রক্তাক্ত হন। যুবলীগ নেতা জাকারিয়া আদিল শটগানের গুলি ছুড়লে শাওন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে প্রথমে শহরের বেসরকারি স্বদেশ হাসপাতালে এবং পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবনতি ঘটলে ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে নেওয়া হয়।