রাতুল | ছবি: সংগৃহীত

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদীতে মেহেদী হাসান রাতুল (২০) নামের এক কলেজছাত্রকে সড়ক থেকে তুলে নিয়ে হাতুড়িপেটা করে পা ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাতে উপজেলার ছলিমপুরের চরমিরকামারী ত্রিমোহিনী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। শনিবার দুপুরে তাঁর বাবা বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় এজাহার দিয়েছেন।

আহত মেহেদী হাসান ছলিমপুরের চরমিরকামারী এলাকার আব্দুল মজিদ সরদারের ছেলে। তিনি স্থানীয় দাশুড়িয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী। মেহেদী হাসানকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মেহেদী হাসানের চাচা রুবেল হোসেন জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে দুটি বাইক ও একটি অটোরিকশায় করে কয়েকজন যুবক ছলিমপুরের চরমিরকামারী ত্রিমোহিনী রাস্তার মোড়ে আসেন। রাতুল সেখানে আগে থেকেই ব্যক্তিগত কাজে অবস্থান করছিলেন। তাঁরা আসার পরপরই রাতুলকে গালি দিয়ে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে এলাকার একটি চাল মিলের কাছে আনেন। সেখানে তাঁকে মারধর ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে চলে যান। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতেই তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

রুবেল হোসেন আরও জানান, দুর্বৃত্তরা হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর কারণে তাঁর ভাতিজা রাতুলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে থেঁতলে গেছে। এ ছাড়া ডান পায়ের তিন স্থানের হাড় ভেঙে গেছে।

রাতুলের বাবা চাতাল শ্রমিক বলে জানান তাঁর চাচা রুবেল হোসেন। তিনি বলেন, ‘কী কারণে রাতুলের ওপর হামলা করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। হামলার সময় রাতুল কয়েকজনকে চিনতে পেরেছেন। ধারণা করছি রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত একটি পক্ষ তাঁকে অপহরণ ও মারধরের সঙ্গে জড়িত। ঘটনাটি পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকেও জানানো হয়েছে।’

ঈশ্বরদী থানা-পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা শুনেছি। কিন্তু মারধরের কারণ অস্পষ্ট নয়। তবে মনে হচ্ছে কোনো বিদ্বেষের কারণে এই হামলা হতে পারে। তাঁর বাবা বাদী হয়ে শনিবার দুপুরে থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন। এজাহারে এলাকার বেশ কয়েকজনের নাম রয়েছে। মামলা নথিভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আসামিদের নাম বলা যাচ্ছে না।