নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্যসচিবের ওপর দলীয় নেতা-কর্মীদের হামলার অভিযোগ

হামলায় আহত নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফকে শহরের চাষাঢ়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান ওরফে টিপুকে নিজ দলের নেতা–কর্মীরা মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে তিনিসহ অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। আহত আবু ইউসুফ বর্তমানে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

শুক্রবার বিকেলে বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত অন্যরা হলেন নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মুন্না ও শ্রমিক দলের নেতা কাউসার।

আবু আল ইউসুফ বলেন, শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে উপজেলার তিনগাঁও এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন তিনি। যাওয়ার পথে নবীগঞ্জ এলাকায় তাঁর ওপর অর্তিকতভাবে হামলা করা হয়। তিনি অভিযোগ করেন, বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আতাউর রহমান (মুকুল) ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আবুল কাউসারের অনুসারী সৌরভ, রাজীব, জাহাঙ্গীর, লিপুসহ শতাধিক দুর্বৃত্ত তাঁদের ওপর হামলা চালান। আগে থেকে ওত পেতে থেকে তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছেন। এ সময় চাপাতি দিয়ে তাঁকে কোপ দেওয়া হয়েছে। তাঁকে রক্ষা করতে সহযোগী অন্যরা এগিয়ে এলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। পরে তাঁকে কোনোরকমে সেখান থেকে উদ্ধার করে শহরে নিয়ে আসা হয়।

মারধরের ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আবু আল ইউসুফকে সড়কে ফেলে বেদম মারধর করছেন কয়েকজন। মারধরে তাঁর পাঞ্জাবি ছিঁড়ে গেছে।

হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে টিপুর ওপর হামলা চালানো হয়েছে। মহানগর বিএনপির সাবেক বহিষ্কৃত সহসভাপতি আতাউর রহমান ও সাবেক সভাপতির ছেলে আবুল কাউসারের ইন্ধনে হামলা চালানো হয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতা আতাউর রহমান বলেন, আবু আল ইউসুফ দলের নেতা–কর্মীদের হত্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছিলেন। তাঁর ওপর অনেক নেতা–কর্মী ক্ষুব্ধ ছিলেন। তাঁদেরই কেউ হয়তো তাঁকে মারধর করে থাকতে পারেন। এখানে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আবুল কাউসারও তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘হামলার বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’