ঈশ্বরদীতে চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা, আহত ৫

সংঘর্ষে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোববার বিকেলে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

প্রতিনিধি পাবনা: চাঁদা না দেওয়ায় পাবনার ঈশ্বরদীতে ব্যবসায়ীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। তাঁদের মারধরে অন্তত ৫ জন ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। তার মধ্যে গুরুতর আহত তিনজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

রোববার দুপুর ১২টার দিকে  উপজেলার মুলাডুলি আড়তে এ ঘটনা ঘটে। তাঁরা বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দলটির জেলা কমিটির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাঁর নাম ভাঙিয়ে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করছেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যবসায়ীরা হলেন- মুলাডুলি গ্রামের মৃত আহাম্মদ আলী শেখের ছেলে আব্দুল হামিদ শেখ (৬৫), মধ্যপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মনজুরুল ইসলাম তারেক (২৩) ও একই গ্রামের লাল মিয়া ব্যাপারীর ছেলে জনি ব্যাপারী (৩২)। 

আহত ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত কয়েকদিন ধরে মুলাডুলি আড়তে গিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে ৫ লাখ চাঁদা দাবি করেন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। তাদের চাহিদা মাফিক চাঁদা না দেওয়ায় রোববার দুপুরে তারা লাঠিসোঁটা, লোহার রড, জিআই পাইপ নিয়ে ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা করে মারপিট করে। এতে পাঁচজন আহত হন। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত এক ব্যবসায়ী পাবনা জেনারেল হাসপাতালে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

আহত ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ শেখ বলেন, 'জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব গ্রুপের সমর্থক রাজ্জাক, ফিরোজ, ডাবলু, হাবিব, সুজন, মাসুদসহ অন্তত ৫০ থেকে ৬০ জন এসে আমাদের আড়ত ও দোকানপাট ভাঙচুর করে। আমরা বাধা দিতে গেলে বেধড়ক মারপিট করে।'

হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মুলাডুলি ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুস সামাদ বলেন, 'তাদের উদ্দেশে চাঁদাবাজি। চাঁদা না পেয়ে এখন আড়ত দখল করে নিতে এই হামলা করেছে। আমরা এ হামলার বিচার চাই।'

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, 'খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কয়েকজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে অভিযোগ পাইনি। ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হবে।'