মুরগি ও ডিম | প্রতীকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: একাধিকবার ব্যর্থ হওয়ার পর আবার খুচরা, পাইকারি ও উৎপাদক পর্যায়ে ‘যৌক্তিক মূল্য’ ঠিক করে মুরিগি ও ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নিল সরকার।

দেশের উত্তর পূর্ব ও পূর্বাঞ্চলে বন্যার মধ্যে ডিমের দাম লাগামহীন ও মুরগির দামে ঊর্ধ্বগতির মধ্যে এই উদ্যোগ নিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

রোববার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের স্বাক্ষর করা চিঠিতে খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিম ১১ টাকা ৮৭ পয়সা, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা এবং ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খুচরায় প্রতি হালি ডিমের দর হবে ৪৭ টাকা ৪৮ পয়সা, ডজন প্রতি দর দাঁড়ায় ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।

বাজারে এখন প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে, ডজন প্রতি বিক্রি হচ্ছে এলাকা ভেদে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়।

চিঠিতে বলা হয়, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং পোলট্রি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নেতাদের সমন্বয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মতামতের ভিত্তিতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এই ‘যৌক্তিক মূল্য’ নির্ধারণ করেছে। এই মূল্য সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে ডিমের মূল্য উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ০১ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এই সিদ্ধান্ত আসার দিন ঢাকার বিভিন্ন পাইকারি বাজারে প্রতি ১০০ লাল ডিম ১২৩০ টাকায় এবং সাদা ডিম ১২১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এই হিসাবে পাইকারিতেই লাল ডিমের ডজন পড়ে ১৫০ টাকা, যা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বেঁধে দেওয়া খুচরা যৌক্তিক মূল্যের চেয়ে বেশি। 

 কেজিপ্রতি সোনালি মুরগি উৎপাদক পর্যায়ে ২৬০ টাকা ৭৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ২৬৪ টাকা ৫৭ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগি উৎপাদক পর্যায়ে ১৬৮ টাকা ৯১ পয়সা ও পাইকারি পর্যায়ে ১৭২ টাকা ৬১ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

একই দিন রাজধানীতে কারওয়ানবাজারে খুচরায় সোনালি মুরগি কেজিপ্রতি ২৬০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগি ১৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এলাকাভেদে দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি।

২০২৩ সালেও ডিমের দাম লাগামহীন হয়ে যাওয়ার পর ১৪ সেপ্টেম্বর ডিমের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১২ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

সেই হিসেবে এক ডজন ডিমের দাম হওয়ার কথা ছিল ১৪৪ টাকায়। কিন্তু খুচরা পর্যায়ে সেই সময় ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা যায়।

 সে সময় পেঁয়াজ ও আলুর দামও ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল। ডিমের মতই এই দুটি পণ্যও বেঁধে দেওয়া দরে কিনতে পারেনি ভোক্তারা। এমনকি আমদানি করেও এই দুটি পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।

কৃষিপণ্য বিপণন অধিদপ্তরও চলতি বছরের মার্চে ওয়েবসাইটে বিভিন্ন পণ্যের যৌক্তিক মূল্য বেঁধে দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু এই যৌক্তিক মূল্যে ক্রেতারা পণ্য কিনতে পারেনি।