চট্টগ্রামে বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোডে পাহাড়ধস

দুই দিনের বৃষ্টিতে ধসে পড়েছে বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোডের পাশে থাকা পাহাড়ের মাটি। এতে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে ওই পাশে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ বিকেল ৫টায় বায়েজিদ এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি সীতাকুণ্ড ও চট্টগ্রাম: টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোডে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার ভোরে সড়কের জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় ৬ নম্বর ব্রিজের কাছে এই পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। পাহাড়ধসের কারণে ওই এলাকায় সড়কের ফৌজদারহাটগামী লেনে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে অন্য লেন দিয়ে দুই দিকের গাড়ি চলাচল করছে।

শনিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, ধসে পড়া পাহাড়ের মাটি সরাতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএর) কর্মীরা কাজ করছেন। এতে সড়কের ওই লেনের পরিবর্তে বিপরীতমুখী লেন দিয়ে উভয় দিকের গাড়ি চলাচল করছে।

সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোডের প্রকল্প পরিচালক আসাদ বিন আনোয়ার বলেন, ধস বন্ধে সড়কের পাশে যতগুলো পাহাড় কাটা হয়েছে এর মধ্যে পাঁচটি পাহাড় নতুন করে কাটতে হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। অনুমোদন পেলে দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে নকশাও প্রণয়ন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামীর শেরশাহ বাংলাবাজার থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফৌজদারহাট পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়কটি নির্মাণে কাটা হয়েছিল ১৬টি পাহাড়। দুই পাশে ৯০ ডিগ্রি খাড়া করে পাহাড়গুলো কাটা হয়। এই পাহাড় কাটার জন্য সিডিএকে ১০ কোটি টাকা জরিমানা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। ২০১৫-১৬ সালে এই সড়ক নির্মাণ শুরু হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫৩ কোটি টাকা।

উত্তর পাহাড়তলী মৌজা, হাটহাজারীর জালালাবাদ মৌজা এবং সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর মৌজায় এসব পাহাড় কাটা হয়েছিল। ফলে বৃষ্টি হলেই এই সড়কে প্রায়ই পাহাড়ধস হচ্ছে। সর্বশেষ ২০২২ সালে একই জায়গায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছিল।

পাহাড় কাটায় একজন গ্রেপ্তার
এদিকে বায়েজিদ লিংক রোড এলাকায় পাহাড় কাটার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  দুপুরে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি), আরাফাত সিদ্দিকী। পরিবেশ অধিদপ্তর ও পুলিশ অভিযানে সহযোগিতা করে।

অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম মো. আকতার। তাঁর বিরুদ্ধে পাহাড় কেটে রেস্টুরেন্ট নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানানো হয় জেলা প্রশাসন থেকে।