সাক্ষাৎকার
বিশেষ সাক্ষাৎকারে শফিকুল ইসলাম
আগামী বছরের মধ্যে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু জরুরি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ও সাবেক বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড. মো. শফিকুল ইসলাম পারমাণবিক প্রযুক্তির ওপর শিক্ষায় ও গবেষণায় নিয়োজিত প্রায় ৩০ বছর। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থায় বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরমাণু প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রকল্পে মুখ্য গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন পদ্মা ট্রিবিউন।
শফিকুল ইসলাম: বর্তমানে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার রাশিয়ানদের সঙ্গে অনেক ভারতীয় ঠিকাদার ও বিশেষজ্ঞরা কাজ করেছেন বলে জানি। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক যাই হোক না কেন, এ ধরনের উচ্চ বিনিয়োগ প্রকল্পে ঠিকাদার ও বিশেষজ্ঞদের ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তা ছাড়া মূল ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার রোসাটমের পলিসিগত কাঠামোও পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু আগের কর্ম অবস্থায় ফিরে আসা থেকে শুরু করে প্রকল্পটির শেষ হতে আরও কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। তবে ওই প্রকল্পে কর্মরত স্থানীয় জনবলের মাঝে কর্মপরিবেশ, সঠিক মূল্যায়ন ও সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বৈষম্যের কারণে অসন্তোষের দানা বাঁধলে তা ন্যায্যতা ও সাম্যতার সঙ্গে সমাধান করতে না করলে সব কাজে যথেষ্ট প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে তা কখনো জিইয়ে রেখে বল প্রয়োগের মাধ্যমে সমাধান করা সমীচীন হবে না। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ যেহেতু শুধু জাতীয় বিষয় নয়, এটি আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয় সে ক্ষেত্রে সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হয়। না হলে পারমাণবিক সব অংশীজনের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, এতে পারমাণবিক শিল্প অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়বে।
পদ্মা ট্রিবিউন: অন্যান্য দেশের তুলনায় পারমাণবিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে বেশি ব্যয় হচ্ছে বলে কারও কারও অভিযোগ। প্রকল্পটি কেন্দ্র করে শেখ হাসিনা এবং অন্যদের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতিরও অভিযোগ উঠেছে। আপনি কী মনে করেন?
শফিকুল ইসলাম: রূপপুরে ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ভিভিআর-১২০০ মডেলের ২টি আধুনিক চুল্লির সর্বমোট নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলার। অন্যান্য দেশের ব্যয়ও প্রায় কাছাকাছি। উদাহরণস্বরূপ রাশিয়ার রোসাটম অনুরূপ মডেলের (ভিভি আর -১২০০) ২টি চুল্লি তুরস্ক, মিসর ও বেলারুশে যথাক্রমে ১০, ১৫ ও ১১ বিলিয়ন ডলারে চুক্তি করেছে (সূত্র-ইন্টারনেট)। এখন এর মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলার নিয়ে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সেটা কতটা সত্য তা তদন্ত করলেই জানা যাবে। তা ছাড়া বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। ফলে এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
পদ্মা ট্রিবিউন: পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে যে ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার সেটি কি রূপপুরে হচ্ছে?
শফিকুল ইসলাম: রূপপুর যেহেতু অত্যন্ত ঘনবসতি এলাকা সেটিকে মাথায় রেখে আমিই ভিভিআর ১০০০ মডেল থেকে ১২০০ মডেল ও ১২০০-টয় থেকে ভিভিআর-১২০০ মডেলটি নির্বাচন করার জন্য অংশীজনদের সভায় অনুরোধ করেছিলাম। পত্রিকায় এ সংক্রান্ত আমার লেখাও প্রকাশ হয়েছিল। পরিশেষে সরকার সব কারিগরি ও আর্থিক দিক বিবেচনা করে বিভিন্ন স্তরের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উচ্চ নিরাপত্তাবিশিষ্ট ভিভিআর-১২০০ মডেলের চুল্লিটি নির্বাচন করে। ফলে এটি যে উচ্চ নিরাপত্তা সম্পন্ন তাতে সন্দেহ নেই। এ ধরনের আধুনিক প্রযুক্তিতে দৈব দুর্ঘটনায় চুল্লির জ্বালানির দন্ড গলে তেজস্ক্রিয়তা পরিবেশে যাতে না ছড়াতে পারে সে জন্য রয়েছে কোর ক্যাচার, বিস্ফোরিত না হওয়ার জন্য রয়েছে দাহ্য হাইড্রোজেন শোষণের ব্যবস্থা, মিসাইল আক্রমণ ঠেকানোর জন্য রয়েছে ডাবল কন্টেইমেন্ট। এগুলো চেরনোবিল ও ফুকুশিমাতে ছিল না। ডিজাইনের দিক দিয়ে চিন্তা করলে চুল্লিতে রয়েছে যথেষ্ট নিরাপত্তার স্তর, কিন্তু নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা কর্তৃক কাজের গুণগতমান নিশ্চিত করা, সঠিকভাবে বুঝে নেওয়া ও দক্ষ জনবল দিয়ে সঠিকভাবে পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে কিনা, সেটাই বড় কথা। দুর্ঘটনা এড়াতে সব ধরনের জনবলের মাঝে সেফটি কালচার মেনে চলা হচ্ছে কি না তা দেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
পদ্মা ট্রিবিউন: পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ জনবল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতা কতটুকু তৈরি হয়েছে?
শফিকুল ইসলাম: একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ব্যবহার শেষে নিষ্ক্রিয় করতে বিভিন্ন ধরনের জনবলের কথা চিন্তা করতে হয় প্রায় ১০০ বছর ধরে। দেশীয় কোনো বিশেষজ্ঞকে এই প্রকল্পের কারিগরি কাজের সঙ্গে যুক্ত রাখা হয়নি। আবার বিশেষজ্ঞ তৈরি করারর উদ্যোগ নেই এখন পর্যন্ত। কোনো শিক্ষাবিদ এত বড় নির্মাণযজ্ঞ বিভিন্ন পর্যায়ে দেখা এবং এ সম্পর্কে উচ্চতর প্রশিক্ষণ পেয়েছে কিনা আমার জানা নেই। অথচ দেশের স্বার্থে এই কাজটা করা খুবই জরুরি।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার গাইড লাইন অনুসরণ করে এই বিষয়ে সব অংশীজনকে নিয়ে একটি জাতীয় সমষ্টিগত পরিকল্পনা তৈরি করে ধাপে ধাপে তা বাস্তবায়ন করাই প্রচলিত রীতি। দরকারি জনবল তৈরি করা বিভাগগুলো যেমন নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং, যন্ত্রকৌশল, তড়িৎকৌশল, আইসিটি ইত্যাদির সঙ্গে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, রূপপুর প্রকল্প ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কী ধরনের যোগাযোগ আছে তা আমার জানা নেই। যেহেতু সেটা হয়নি তাই দক্ষ জনবল কতটা তৈরি হয়েছে তা আমার পক্ষে মূল্যায়ন করা মুশকিল। শুনেছি প্রকল্পে কর্মরত অনেককে বিভিন্ন ধাপে রাশিয়াতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের শুরুতে ভারতে কিছু লোকবলের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ দিয়েছে। কিন্তু সেটা কতটা কার্যকর হবে তা বলতে পারব না।
এখানে উদ্বেগের বিষয় হলো-সরকারী ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৯০ জন শিক্ষার্থীকে রাশিয়ার মেফি থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে এনে তাদের প্রায় অর্ধেকের মতো চাকুরীর সুযোগ দেওয়া হয়নি। আবার নিউক্লিয়ার জ্ঞানসমৃদ্ধ দেশের অনেক শিক্ষার্থী স্নাতোকত্তোর শেষ করে বছরের পর বছর বেকার বসে আছে তাদেরকে কাজের কোনো সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
পাশাপাশি আরেকটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে- বহুদিন ধরেই বলে আসছি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লি চালু হলে প্রথমে লাগবে একটি বিষেশায়িত সংস্থা, যারা প্ল্যান্টের রক্ষণাবেক্ষনের কাজ করবে। নিউক্লিয়ার জ্ঞানসমৃদ্ধ এই বেসরকারি বিষেশায়িত প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করা না হলে প্ল্যান্ট চালু হলে কে করবে ফিটিং ও ফিক্সিং এর কাজ? আমরা কি তাহলে যে কোন ভাল্ব, পাইপ, ফিল্টার, রেজিন, ইন্ট্রমেন্ট ইত্যাদি পরিবর্তন করতে বিদেশ নির্ভর থাকব? চাইলেই কি হঠাৎ নিউক্লিয়ার জ্ঞানসমৃদ্ধ সরকারের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিষেশায়িত রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থা (অবকাঠামো, প্রশিক্ষিত জনবল) পাওয়া যাবে? সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এটি কি রাতারাতি তৈরি করা যাবে?
পদ্মা ট্রিবিউন: অন্যান্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তুলনামূলক সুবিধা-অসুবিধাগুলো জানতে চাই।
শফিকুল ইসলাম: পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র অন্যান্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের তুলনায় সারাবছর নিরবচ্ছিন্নভাবে চলে। আঠার মাস অন্তর অন্তর জ্বালানি পরিবর্তন ও অন্যান্য রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রায় ২ মাস বন্ধ রাখতে হয়। তা ছাড়া এটি পরিবেশবান্ধব। প্রাথমিক বিনিয়োগ বেশি হলেও দীর্ঘমেয়াদে তা কিন্তু সাশ্রয়ী। ১২০০ মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ কয়লা কিংবা তেল দিয়ে উৎপাদন করতে প্রতি ১৮ মাস পরপর জ্বালানি হিসেবে লাগবে প্রায় ১ কোটি মেট্রিক টন কয়লা, ১৯ কোটি গ্যালন তেল। বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী এই পরিমাণ কয়লা ও তেল ক্রয় করতে লাগবে যথাক্রমে ৭৩০০ ও ৬৩০০ কোটি টাকা। আর ২৫ মেট্রিক টন ইউরেনিয়াম জ্বালানি কিনতে লাগবে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আয়ুষ্কাল হচ্ছে ৬০ বছর এবং কোনো কার্বন নির্গমন করে না। আর কয়লা ও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আয়ুষ্কাল ২০-২৫ বছর এবং বিপুল পরিমাণ ক্ষতিকর কার্বন নির্গমন হয়। অন্যদিকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কার্বন নিঃসরণ করে না বলে পরিবেশবান্ধব, কম জায়গা লাগে, বর্জ্য উৎপাদন কম করে, রেডিয়েশনের নির্গমনের হার কম, মৃত্যুর হার কম, সাশ্রয়ীভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। অসুবিধা হলো বিনিয়োগ বেশি বলে অর্থনৈতিক ঝুঁকি বেশি, বড় ধরনের চুল্লির ক্ষেত্রে নির্মাণকাল বেশি (১০-১৫ বছর) আবার ছোট মডুলার চুল্লির ক্ষেত্রে ৪-৫ বছর লাগবে, তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সমাধিকরণের সমস্যা, মানুষের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া ও ভীতি ইত্যাদি। এ জন্য পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রাথমিক ব্যয় বেশি হলেও দীর্ঘমেয়াদে সাশ্রয়ী। ইউনিটপ্রতি বিদ্যুৎ উৎপানের খরচ ও সঞ্চালন ব্যয়সহ ধরলে সর্বোচ্চ খরচ হতে পারে ৮ টাকা। দেশে গ্যাসের পরে দ্বিতীয় সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ হলো পারমাণবিক বিদ্যুৎ।
পদ্মা ট্রিবিউন: সামগ্রিকভাবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে আপনার মূল্যায়ন এবং এই কেন্দ্রের ভবিষ্যৎ কী?
শফিকুল ইসলাম: জ্বালানির সংকট মোকাবিলা, জ্বালানি রূপান্তর ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে পারমাণবিক বিদ্যুতের বিকল্প নেই। সব অংশীজনকে সম্পৃক্ত করে সঠিক জনবল তৈরি ও সঠিকভাবে পদায়ন, মূল্যায়ন, প্রশিক্ষণ, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পরিবেশ রক্ষা, ন্যায্য ও সাম্যতা রক্ষা, সঠিক কর্মপরিবেশ নিশ্চিত, দক্ষ ব্যবস্থাপনা, বিশেষজ্ঞ তৈরি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার রোডম্যাপ, স্থানীয় সক্ষমতা ইত্যাদি তৈরি করতে পারলে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দীর্ঘমেয়াদে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব। এটি আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াবে এবং বহির্বিশ্বে আমাদের ইমেজ বাড়বে। ভূরাজনীতিতে এটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করবে।
পদ্মা ট্রিবিউন: দেশে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কথা আলোচনায় আছে। এটির যৌক্তিকতা কতখানি এবং সেটা কীভাবে বাস্তবায়ন করা ভালো?
শফিকুল ইসলাম: দ্বিতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চাইতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটি দ্রুত চালু করাই হবে সবচেয়ে জরুরি কাজ। ইতিমধ্যে ২০১৭ সালে কংক্রিট ঢালাই থেকে অদ্যাবধি ৮ বছর চলছে। আগামী বছরের মধ্যে চালু না করতে পারলে আমাদের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। উৎপাদনে না যেতে পারলে জনবলের বেতনভাতাদি দিতে প্রচুর রাজস্ব ব্যয় হবে। প্রথমে এটিকে চালু করতে কী কী অসুবিধা হয় তা বুঝতে হবে, কয়েক বছরে চালানোর অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী দীর্ঘমেয়াদে জ্বালানি সরবরাহের চাহিদা নিশ্চিতকরণের পলিসি ঠিক করতে হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে আমরা কখন, কোথায় এবং কোন দেশে প্রযুক্তি নির্বাচন করব?
পদ্মা ট্রিবিউন: আপনাকে ধন্যবাদ।
শফিকুল ইসলাম: ধন্যবাদ পদ্মা ট্রিবিউনকে।