হত্যা মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

আদালতে দিলীপ কুমার আগারওয়ালা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বাড্ডা থানায় করা হৃদয় আহম্মেদ (১৬) হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বুধবার তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।

এর আগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে আদালতে হাজির করে বাড্ডার হৃদয় আহম্মেদ হত্যা মামলায় ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ।

রিমান্ডের আবেদনে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই দুপুরে বাড্ডা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয় কিশোর হৃদয় আহম্মেদ। তখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করতে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় হৃদয়। এ হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য এজাহারভুক্ত আসামি দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

অন্যদিকে দিলীপ কুমার আগরওয়ালার আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত দিলীপ কুমারকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে দিলীপ কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে জানানো হয়।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এক বার্তায় জানায়, সোনা ও হীরা চোরাচালানের অভিযোগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এবং এর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে সোনা ও হীরা আমদানির নামে অর্থ পাচার, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে।

সিআইডি বলেছে, অভিযোগ রয়েছে, দিলীপ কুমার প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন জেলায় নামমাত্র শোরুমের মাধ্যমে প্রকৃত ডায়মন্ডের বদলে উন্নত মানের কাচের টুকরাকে ডায়মন্ড বলে বিক্রি করেছেন। তিনি দুবাই ও সিঙ্গাপুরে সোনা চোরাচালান সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, ভারতের কলকাতায় তিনটি জুয়েলারি দোকান ও ১১টি বাড়ি এবং মালয়েশিয়া, দুবাই ও কানাডায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে তথ্য রয়েছে।

এ ছাড়া নানাভাবে প্রতারণার মাধ্যমে ৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে অবৈধভাবে একটি ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার অভিযোগ পাওয়ায় সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট দিলীপ কুমার আগরওয়ালা এবং এর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে অনুসন্ধান শুরু করেছে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ (আলমডাঙ্গা ও সদরের একাংশ) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে হেরে যান দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য।