ঈশ্বরদীতে খালাস পেলেন বিএনপির ২৭ নেতা-কর্মী

বাঁ থেকে জাকির হোসেন জুয়েল, ইমরুল কায়েস সুমন, মেহেদী হাসান ও মাহামুদ হাসান সোনামনি | ছবি: সংগৃহীত

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: সদ্য বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পাবনার ঈশ্বরদীতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার হওয়া মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির ২৭ জন নেতা-কর্মী।

রোববার পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-২ এর বিচারক মো. মুস্তাফিজুর রহমান, বারো বছর আগে করা এ মামলার রায় দেন। বিষয়টি সোমবার প্রকাশ্যে আসে।

আদালতের এক সাঁটলিপিকার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আদালত এ মামলার ২৭ আসামিকে খালাস দেন।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ২৭ অক্টোবর ঈশ্বরদী শহরের স্টেশন রোডে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি আনিছুন্নবী বিশ্বাস বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ অভিযোগপত্র জমা দেয়। রোববার আদালত ২৭ জন আসামিকে খালাস দেন।

খালাস পাওয়ারা হলেন- পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন জুয়েল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ইমরুল কায়েস সুমন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব মেহেদী হাসান, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মাহামুদ হাসান সোনামনি, শ্যামল, অটল, জুয়েল, জাহাঙ্গীর, রিপন, সুজন, হাসান, জনি, মিলন, মানিক, নিফা, রতন, তনু, সেলিম, ইনাত, জিয়া, ঝন্টু, আজিজল, বজলু, টিটু খন্দকার, ডেগার, নরসাদ ও সাইদুল।

মামলা থেকে খালাস পাওয়ার বিষয়ে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ইমরুল কায়েস সুমন বলেন, 'এই মামলাটি রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে ব্যবহার করেছে। অথচ, যদি পুলিশকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হতো, তাহলে দেশের জন্য আরও ভালো হতো।'