বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই গ্রুপের লোকজনদের হাতে রামদা, ধারালো অস্ত্র, রড ও লাঠিসোঁটা দেখা গেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত ফতুল্লার রেললাইন বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত হয়েছেন ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রবিনসহ কমপক্ষে ২০ জন। আহত আরও ছয় জনের ছবি পাওয়া গেলেও তাৎক্ষণিকভাবে তাদেরসহ বাকিদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে ও দলীয় নেতাকর্মী সূত্রে জানা গেছে, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজ প্রতিরোধে একই ব্যানারে ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি ও ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি একই সময়ে মিছিল বের করে। এর মধ্যে ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির মিছিলে ছিলেন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন। তিনি মূলত থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বারী ভূঁইয়ার সমর্থক।

অপরদিকে থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু সমর্থিত ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির ব্যানারে মিছিলে ছিলেন ফতুল্লা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রবিনসহ আরও অনেকে। দুই দলের মিছিল রেললাইন বটতলা এলাকাতে পৌঁছালে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় তারা ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ফতুল্লার শিবু মার্কেট হতে পোস্ট অফিস সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু বলেন, বিকালে ফতুল্লা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এলাকা থেকে মাদক, সন্ত্রাস দূর করতে একটি শান্তি মিছিল নিয়ে বের হয়। এ সময় বিএনপির কতিপয় কয়েকজন নেতা আওয়ামী লীগের লোকজনদের নিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপরে হামলা চালিয়েছে ও ‍গুলিবর্ষণ করেছে। এতে আমাদের প্রায় ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বারী ভূঁইয়া বলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ চৌধুরী বিএনপির একজন বিপথগামী নেতা। তার নেতৃত্বে যুবলীগ নেতা মীর সোহেলের লোকজন আমাদের নেতাকর্মীদের ওপরে হামলা চালায়। এতে আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি সোলায়মান মাহমুদ বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। আহতের বিষয়ে জানা নেই। মূলত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।